শায়রুল কবির খান
"প্রথম বাংলাদেশ-আমার শেষ বাংলাদেশ"
প্রকাশ: ১০:১৮ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৫:৩৮ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ৫৩-বছর পার করে ৫৪-বছরের পদাপর্ণ করছে। আজ ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ মহান বিজয় দিবসে অনেক চড়াই-উতরাই-এর মধ্যে দিয়ে। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে, দুর্নীতি, লাগামহীন লুটপাট, নির্যাতন-নিপীড়ন, মামলা গ্রেপ্তার, হত্যা, ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ১৯৭৫ সাল আগস্ট পট-পরিবর্তন।
১৯৭৫ নভেম্বর ৭ সিপাহি-জনতার বিপ্লব ও সংহতি'র মধ্যে দিয়ে মেজার জেনারেল খালেদ মোশাররফ- এর বন্দীশালা থেকে। বিচক্ষণ সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর-কে মুক্ত করে জনতার কাতারে নিয়ে আসেন। সেদিনের তার আবির্ভাবেই বাংলাদেশ রক্ষা পায়। ন্যায় বিচারক অর্থনীতি পুনঃউদ্ধার মানবিক মর্যাদায় "বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ"- এর ভিত্তিতে জাতি রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা পায়।
অর্থনৈতিক অর্জনে যে দুটি মৌলিক ক্ষেত্র তিনি প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন। আজ পর্যন্ত তার ওপর বাংলাদেশের অর্থনীতি নির্ভরশীলএবং এর বিকল্প এখনো তৈরি হয়নি যা বৈদেশিক মূদ্রা আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে পরিচিত। এই উৎস দুটি'র দ্বার উন্মচিত ও বিকশিত হয় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে। যার সুফল পেয়ে যাচ্ছে এই দেশে এবং অদূর ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
ঢাকার পুরাতন শহরের বাসিন্দা নুরুল কাদের- এর মালিকানাধীন "দেশ গার্মেন্টস" দেশে প্রথম রফতানিমুখী পোশাক কারখানা হিসাবে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান- এর প্রত্যক্ষ সহায়তায় গড়ে উঠে এই গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি।
১৯৭৭ সালে সৌদি আরব- এর বাদশাহ খালিদ বিন আব্দুল আজিজ-এড আমন্ত্রণে সৌদি আরব যান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক আধুনিক স্বনির্ভর বাংলাদেশর রুপকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি উপহার হিসেবে সাথে নিয়ে যান বেশ কিছু নিম গাছের চারা। বাদশাহ খালিদ বিন আব্দুল আজিজ-কে উপহার দেয়ার সময় বলেন,“গরিব মানুষের দেশের গরিব রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে আপনার জন্য আমার এই সামান্য উপহার” বাদশাহ খালিদ বিন আব্দুল আজিজ থেকে এখন পর্যন্ত যত বাদশা বহু দেশ থেকে বহু মূল্যবান উপহার এখন পর্যন্ত পেয়ে আসছেন। কিন্তু এমন মূল্যবান উপহার তিনি পাননি। আবেগে আপ্লুত বাদশাহ-কে জড়িয়ে ধরেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-কে বাদশা খালিদ বিন আব্দুল আজিজ বলেন, আজ থেকে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ পরস্পর অকৃতিম বন্ধু।
তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য অর্থ সাহায্য দিতে চান। কিন্তু এ সময় জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের দেশের মানুষ গরিব কিন্তু তারা কঠোর পরিশ্রম করতে জানেন। আপনার দেশের উন্নয়ন কাজের জন্য হাজার হাজার শ্রমিক দরকার। একটি নব্য স্বাধীন মুসলিম দেশের জন্য যদি আন্তরিকভাবে সাহায্য করতে চান। তবে আমার দেশের বেকার মানুষদের কাজ দিন।
বাদশাহ খালিদ বিন আব্দুল আজিজ রাজি হলেন। উন্মোচিত হলো এক নতুন দিগন্ত। তখন থেকে বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ সৌদি আরব গিয়ে নিজেদের ভাগ্য বদল সহ স্বাবলম্বী হয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দেয়া সেই নিমের চারাগুলো আজ মহীরূহ ছড়িয়ে পড়েছে সাড়া সৌদি জুড়ে।
মরুভূমিতে যেন টিকে গেছে আধুনিক স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্মৃতি উঁচু করে। আরাফাতের ময়দানে সবুজ শীতল ছায়া দিয়ে চলেছে অসংখ্য নিম গাছ। সৌদি আরবে ১৯৭৭ সাল থেকে নামকরণ করা হয় ‘জিয়া ট্রি’ বাংলায় বলা হয় ‘জিয়া গাছ’ নামে। আর আরবী-তে কেউ কেউ বলেন- "জিয়া সাজারাহ"