গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫২ এএম, ৯ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২০ পিএম, ১২ অক্টোবর,শনিবার,২০২৪
আমি গুণ্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি। যারা মাহফিল আয়োজন করেছো আমি তাদেরকে খুন করবো, কারো লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না। গত রবিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় গোবিন্দপুর ইউনিয়নের নারায়াণপুর গ্রামের মাহফিলে স্থানীয় চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীম-এর নেতৃত্বে মাহফিল পন্ড করে মাইকে এমনই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামিম। জনপ্রিয় ভিডিও চ্যানেল ইউটিউব এবং ওই মাহফিলের প্রধানবক্তা মাও মোহাম্মদ হাসিবুর রহমানের ভেরিফাইডেট ফেসবুক পেইজে দেয়া স্টাটাস থেকে চেয়ারম্যানের এমন হুঙ্কার এখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে চেয়ারম্যান শামীমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি হুঙ্কার দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, "ওই সময় আমি এমন হুঙ্কার না দিলে মাহফিলে উপস্থিত প্রায় ১০/১২ হাজার লোক আমাকে মেরে ফেলতো" মাহফিল পন্ড করতে গেলেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান শামীম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী মাহফিলের অনুমতি নেয়া হয়নি" এবিষয়ে কথা বলার জন্য লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে ফোনে বারবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
গতকাল কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় গোবিন্দপুর ইউনিয়নের নারায়াণপুর গ্রামের মাহফিলে স্থানীয় চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীম-এর নেতৃত্বে তার গুণ্ডাবাহিনী আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। মাহফিলে আমার আলোচনা চলাকালীন স্বঘোষিত এই গুণ্ডা চেয়ারম্যান তার সশস্ত্র গুণ্ডাবাহিনী নিয়ে মাহফিলস্থলে এসে মাহফিলে গণ্ডগোল সৃষ্টি করে। তারপর অকথ্য ভাষায় মাহফিলে আগত ¯্রােতাগণকে গালিগালাজ শুরু করে এবং আয়োজকগণকে হুমকি দিয়ে বলতে থাকে- আমি গুণ্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি। যারা মাহফিল আয়োজন করেছো আমি তাদেরকে খুন করবো, কারো লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাদের ঘরবাড়ি মরুভূমি বানিয়ে দিবো। মায়ের পেট থেকে বের করে জবাই করবো--এরকম অকথ্য ও অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকে। উপস্থিত হাজার হাজার জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে গেলে পরিবেশ ঘোলাটে হওয়ার আশঙ্কায় আমি সাথে সাথে মোনাজাত দিয়ে মাহফিল শেষ করি।
অতঃপর আমি স্টেইজ থেকে নেমে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশে ফোন করে পুলিশ প্রটেকশন চাই। এরই মধ্যে স্বঘোষিত এই গুণ্ডা চেয়ারম্যান তার লালিত পালিত গুণ্ডাদেরকে নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন গাড়ি পুড়িয়ে দেয়াসহ মাহফিলে আগত বহু লোককে আক্রমণ করেছে। পুলিশ আসতে আসতে তারা আমার গাড়িও ভাঙচুর করেছে। অবশেষে পুলিশের ভাইয়েরা আমাকে নিরাপত্তা দিয়ে আমার লোকজনসহ আমাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন। এমন জানোয়াররূপী লোকেরা জনপ্রতিনিধি হয় কী করে? এদেরকে কারা লালন-পালন করে? এরা মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করে জনগণের সেবক না হয়ে শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আমি, আমার ড্রাইভার ও আমার সফরসঙ্গীগণ নিরাপদ এবং ভালো আছি। দেশ-বিদেশের যারা আমাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি। আমাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশের ভাইদেরকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি উত্তম সবর অবলম্বন করলাম এবং আল্লাহর কাছে এসব গুণ্ডা-মাস্তানদের উত্তম বিচার কামনা করছি,নিশ্চয়ই তিনি উত্তম ফায়সালাকারী।"