এ প্রতিহিংসার শেষ কোথায়!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:২৭ পিএম, ২ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫৪ এএম, ১৫ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। কিন্তু তিনি রাজনীতি থেকে থেকেছেন দূরে। কখনও কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ নেননি। তারপরও তিনি এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
মানসিক নির্যাতন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্তর্ভুক্ত। দেশ থেকে দূরে, পরিবারের সদস্যদের থেকে বহুদূরে প্রবাসে নিভৃতে একজন গৃহবধূ সাংসারিক জীবনযাপন করছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, এমন কি কখনও কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদান করেননি। মেধাবী শিক্ষাবিদ, চিকিৎসাবিদ ও অরাজনৈতিক জীবন ধারণ করেও ক্ষুদ্র চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হলো। রবি ঠাকুরের ‘সামান্য ক্ষতি’ কবিতা হয়তো এখানে প্রযোজ্য।
একজন নারী যিনি বাল্যকালে পিতৃহারা হয়েছেন, বাবার মৃত্যুর পর যিনি দেখেছেন সাদা শাড়ি পরিহিতা বিধবা মাকে প্রতিদিন কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে। তবুও মনকে শক্ত করে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য চিকিৎসাশাস্ত্রের মতো কঠিন বিষয়ে অধ্যবসায় করেছেন। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একজন নারীর জন্য তার চাকরি কতো প্রিয়, কতো সাধনার সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু শুধু চাকরিচ্যুত করেই শেষ নয়! মা দিবসে বাবা হারা কন্যা মা কিংবা শাশুড়ি মা কাউকে দেখতে পান না, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা প্রতিবছর আসে যায় কিন্তু মুসলিম প্রথানুযায়ী তিনি কোনো কিছুই মায়েদের সাথে পালন করতে পারেন না। বছর ঘুরে নতুন বছর আসে, নিউ ইয়ার, পহেলা বৈশাখ কোনোদিনই দুই মায়ের মুখ দেখতে পান না! বাবা-শশুর কিংবা দেবর কারো মৃত্যুবার্ষিকী কোনো কিছুর মোনাজাতে শরিক হতে পারেন না। এক যুগ ধরে পরম শ্রদ্ধেয় পিতা-শশুরের মাজারের মাটি ছুঁয়ে দেখতে পারেন না। পরিবারের সদস্যদের জন্মদিন কিংবা বিয়ে কোনো আনন্দেই অংশগ্রহণ করতে পারেন না। কিন্তু তাও নীরবে নিশ্চিন্তে দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে, ভিনদেশে অচেনা মানুষের ভিড়ে নারী হিসাবে এতটুকু স্বস্তির হয়তো অধিকার নাই! কারণ ব্যক্তিগত জীবন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দিয়ে একজন মেধাবী শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসাবিদ নারীকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার অপচেষ্টা! কথায় বলে সম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান করো, কিন্তু বর্তমান যুগে প্রতিষ্ঠিত নারীরাও মিথ্যা অপপ্রচার দ্বারা সম্মানহানির হুমকিতে। এর শেষ কোথায়? তাহলে কি এই দুটি প্রবাদই সঠিক ‘‘লেখাপড়া করে যে গাড়িচাপা পড়ে সে’’ কিংবা ‘‘জ্ঞানের কোনো শেষ নাই, জ্ঞানের চেষ্টা বৃথা তাই’’!
তাহলে সব কন্যা শিশু যারা বাবাকে বলেছে বাবার স্বপ্ন পূরণ করবে, বিধবা মাকে বলেছে মায়ের স্বপ্ন প্রতিষ্ঠিত হবে- সবাই মিথ্যা স্বপ্নে বিভোর হয়েছে।