শায়রুল কবির খান
এবার মানুষ আশায় বুক বেঁধেছে-সেই আশা বিএনপি-কে বাস্তব করতে হবে
প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৫২ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ছোট্ট একটা লেখা লিখতে বাধ্য হচ্ছি। নানান জনের নানান মন্তব্য করছেন শুনে, অনেকেই ফোন করে কথা শুনাচ্ছেন তাই।
প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। রাজনৈতিক হয়রানি মূলক মামলায় সাজা নিয়ে (সরকারের নির্বাহী আদেশে) বর্তমানে বাসায় চিকিৎসাধীন এক ধরনের কারাগারে আছেন।
আগামীর "কল্যাণ রাষ্ট্র" গঠন করতে যিনি সুদূর লন্ডন থেকে অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তিনি আমাদের কান্ডারী বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান-কে সার্বিক সহযোগিতা করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি স্হায়ী কমিটি সদস্যগণ।
বিএনপি স্হায়ী কমিটি সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ধানমন্ডি জোন'র সমাবেশ রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছেন।
তার বক্তব্য কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী বিবৃতি দিয়েছেন। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বক্তব্য আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী-কে যুক্ত করেই রেখেছিলেন, তবে তার বক্তব্যের জবাবে বিবৃতি দিয়েছেন শুধু জামায়াতে ইসলামী। এই পরস্পর পরস্পরের বক্তব্য বিবৃতি থেকে আওয়ামী লীগ কি কোনো সুযোগ নেবার সন্ধানে আছে?
এর মাঝে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছেন প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান। তিনি বিএনপি সরকারের সময়ে বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা সম্পাদক (বর্তমানে বন্ধ) তখনকার সময়ের দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় তার লেখা ও বক্তব্য আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় নেতাকর্মীরা মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছেন।
পত্রিকা অফিস থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। দীর্ঘদিন কারাবাস করেছেন। জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এরপর আবার কিছুদিন সরব থাকলেন। তারপর বিদেশে গেলেন। এখন বিদেশে আছেন। বর্তমানে অনলাইন টকশোতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন। লেখা-লেখি করছেন।
বিএনপি স্হায়ী কমিটি সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জনসভা বক্তব্য জামায়াতে ইসলামী ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়া পর ও মাহামুদুর রহমান কেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু'র ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে এত কথা লিখেছেন?
এই লেখায় কার ক্ষতি হলো আর কার লাভ হলো?
মাহমুদুর রহমান একজন পন্ডিত ব্যক্তি তিনি তার রাজনৈতিক মতামত যাই দিয়ে থাকুন দিতে পারেন কিন্তু বিএনপি'র মতো প্রধান রাজনৈতিক দলের নীতিনির্ধারণী কমিটি'র সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু-কে নিয়ে ব্যক্তিগত এমনকি পারিবারিক সদস্যদের চরিত্র নিয়ে খুব নোংরা ভাষায় লিখেছেন তা কোনো ভাবেই শোভনীয় হয়নি।
একটা কথা স্বীকার করতে হবে এক এগারো সরকার অন্যায় ভাবে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ পরিবারের সদস্যরা কারাগারে ছিলেন।
তারপর ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু'র সহধর্মিণী ২০০৮ সালে নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
মানুষ এবার আশায় বুক বেঁধে আছে, আপামর জনসাধারণ বিশ্বাস করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি নৈতিক ভাবে শক্তিশালী, কারণ বিএনপি "বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী" দর্শনের দল। এই দলের প্রধান নেতা থেকে শুরু করে সকল স্তরের যে কোনো নেতার পক্ষে কোনো দেশের অকল্যাণ মূলক কোনো কাজ হবে না।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আগ্রাসন থেকে দেশনায়ক তারেক রহমান-এর নেতৃত্বে জনগণের আকাঙ্খা পূর্ণ হবে, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে আসবে।
এই বিশ্বাসের ওপর আহত করা যাবে না। সবাই সর্তক থেকে জনগণের আকাঙ্খা পূরণে সক্ষম হতে হবে।