avertisements
Text

সুলতান আহমেদ রাহী, আহবায়ক, ছাত্রদল, রাবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কি বার্তা দিচ্ছেন?

প্রকাশ: ০৮:৪৩ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:৫০ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

শাসকদের জন্য অপরিহার্য হলো জনসাধারণের সুখ-দুঃখে অংশগ্রহণ করা। তাদের হেফাজত ও তত্ত্বাবধান করা। জনসাধারণের পদধ্বনি শুনে তার গতিবিধি খোঁজা এবং তার পদচিহ্ন ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাম্য, মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে দেশ ও তাঁর দল পরিচালনা করছেন। 

দেশি- বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে খুনি হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে দেড় লাখ মামলা হয়েছে। সাবেক তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই সংগ্রাম বিশ্ব শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ৩৭২ দিন কারাবন্দী থাকার পর মুক্ত হয়ে "দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও" আন্দোলনের আহবান জানিয়ে, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর বিনা চিকিৎসায় জেলে বন্দী ছিলেন মা ও মাটির আপোষহীন দেশনেত্রী। 

অপরদিকে খুনি হাসিনা রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে একটি মামলা সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি, তারেক রহমানের জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে খুনি হাসিনা রাষ্ট্রের মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা দেশি ও বিদেশী সংস্থাকে ঘুষ প্রদান করেও জনপ্রিয়, সৎ ও দেশপ্রেমী জননেতা তারেক রহমানের একটিও দূর্নীতি প্রমান করতে পারেনি। বিগত ১৬-১৭ বছর বিশাল অংকের অর্থের বিনিময়ে ভারতীয় ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা সহযোগিতা নিয়েও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নুন্যতম জনপ্রিয়তা হ্রাস করতে পারেনি কেউ। নিরপরাধ দেশপ্রেমিক তারেক রহমানের কোন দুর্নীতি না পেয়ে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় বেকসুর খালাস ও ন্যায় বিচার করায় দেশ ছাড়া হতে হয়েছে বিচারপতি মোতাহের হোসেনকে। 

এমন কি খুনি হাসিনা ফরমায়েশি রায় প্রদান করতে পিস্তল ও ভয় ভীতির সম্মুখীন হতে হয়েছে সেই বিচারপতির। অপরদিকে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট মামলায় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর পঞ্চাশ লাখেরও বেশি নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়েছে। নিরপরাধ হাজার হাজার নেতাকর্মী হয়েছে জেল-জুলুমের শিকার। এখন পর্যন্ত সে সকল মিথ্যা মামলায় বিভিন্ন পযার্য়ের নেতাকর্মী জেলে বন্দী রয়েছে। কোর্টে বারান্দায় নিয়মিত মামলা মোকাবেলা করছে। রাজপথ কিংবা জেলখানা সব জায়গায় বিএনপির নিরপরাধ নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে ৬৭৭ জন গুমের শিকার এর মধ্যে ৪২৩ জনই বিএনপির গুম হয়েছে। 

নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া খুনি হাসিনার সাধারণ সম্পাদক পলাতক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেনঃ ক্ষমতার পালাবদল হলে এক রাতে আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়া হবে, লক্ষাধিক নেতাকর্মীদের হত্যা করা হবে। অথচ তা হয়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের মানবিক, দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য তাঁর নেতা-কর্মীরা শত আঘাত, নির্যাতন ও ক্ষোভ ভুলে গিয়ে দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সারাদেশে কোথাও কোন নেতা-কর্মী এমনকি সর্মথক কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেয়নি। কোন মানুষকে আঘাত অথবা পিটিয়ে হত্যা করেনি। 

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ এর মহানায়ক আন্দোলনের প্রধান রূপকার জনাব তারেক রহমান। বাংলাদেশের যদি কোন রাজনৈতিক সংগঠনের একক সবচেয়ে বেশি অবদান থেকে থাকে তাহলে সেইটা তার দল বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের। বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন রাজপথে স্বত:স্ফূর্তভাবে ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাজপথে বুকচিতিয়ে ও প্রকাশ্যে খুনি হাসিনা পালিয়ে যাওয়া থেকে আজ অব্দি করে আসছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আগস্ট ১৩ তারিখ পর্যন্ত ৪২২ জন বিএনপির নেতা-কর্মীকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

সবশেষ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ১১৩ জন ছাত্র শহীদ হয়েছেন। ছাত্রদল রাজপথে রক্ত দিয়ে একেবারে গণঅভ্যুত্থানের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রাস্তায় পড়ে ছিলো। যদি খুনি হাসিনা আবার কোনভাবে টিকে থাকতো তাহলে অন্য কোন রাজনৈতিক সংগঠনের খুব বেশি কিছু হতো না। সবচেয়ে বিপদে ঝুঁকিতে থাকতো বিএনপি ও ছাত্রদল। রাজনৈতিক দল বাদে মোটাদাগে আপামর জনগণ এখানে অনেক বড় ভুমিকা রেখেছে। গণঅভ্যুত্থানে সকল স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেমে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল শিক্ষার্থী, কওমী মাদ্রাসা, শিক্ষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, কৃষক সহ সকল শ্রেণির মানুষেরা রাজপথে মিছিল, স্লোগান ও প্রতিবাদ করেছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে তারা প্রত্যেকেই এই বিপ্লবের অংশীদার, প্রত্যেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী "বাংলাদেশ যাবে কোন পথে ফয়সালা হবে রাজপথে"। সেই স্লোগানের সূতায় সকলেই এই আন্দোলনের অংশীদার। 

এখন গণঅভ্যুত্থান শেষ, খুনি হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে কিন্তু তার দোসররা দেশেই রয়েছে। সে দোসররা ও কিছু রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা পাশ্ববর্তী দেশগুলোর ষড়যন্ত্র ও লোভে ফাঁদে পা দিয়ে এই বিজয় নৎস্যাত করতে ষড়যন্ত্র চলমান রাখছে। তাই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং এই বিজয় টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের বিএনপির মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশ পালন করতে হবে। কারন আমরা জানি, তাঁর পিতা মহান স্বাধীনতা ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর মত তাঁরও চেতনায় প্রথম বাংলাদেশ ও জীবন-মরনেও তাঁর শেষ বাংলাদেশ। তাঁর মা আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মত তাঁরও শেষ ঠিকানা এই বাংলাদেশ আর কোন ঠিকানা তাঁর নেই। তাই সাম্য, মানবিক মর্যাদা  ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আগামীর রাষ্ট্রনায়ক জনাব তারেক রহমান এর বক্তব্যর কিছু বার্তা ও নির্দেশনা তুলে ধরা হলোঃ

★ সকল ক্ষেত্রে পরিচয় আমাদের একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশী।
★ শহীদদের আত্মত্যাগ ধরে রাখতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
★ বিগত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মত্যাগ সেদিন ই সফল হবে, যেদিন আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।
★ শক্তি কিংবা ভয় দেখিয়ে নয়, ইনসাফ এবং উদারতা দিয়ে মানুষের মন জয় করুন। জনগণের ভালোবাসা অর্জন করুন।
★ এই বাংলাদেশ আপনার-আমার, আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে- এটাই বিএনপির নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি।
★ তিনি চান দল-মত নির্বিশেষে, সকলকে নিয়ে জাতি গঠন করতে।
★ জনগণের কাছে জবাবদিহিতামূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই তাঁর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
★ ধর্ম যার, যার নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।
★ আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, মানুষের প্রতি মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে আপনারা দয়া করে কারো কোনো রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় পরিচয়কে প্রাধান্য দেবেন না।
★ কেউ যদি মনে করেন, উন্নত ও নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য আরও নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন।
তাতেও দোষের কিছু নেই। কারণ শেষ পর্যন্ত জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে সমর্থন জানাবে।
★ এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোন ভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
★ সংস্কার কার্যক্রমের পথ ধরে নির্বাচনী রোডম্যাপে উঠবে দেশ। সুতরাং, আসুন, আমরা সবাই কাজের মাধ্যমে জনগণের বিশ্বাস ভালোবাসা অর্জন করি। জনগণের সঙ্গে থাকি। জনগণকে সঙ্গে রাখি।
★ তিনি এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চায় যেখানে দরিদ্রদের সহায়তা করার জন্য কোন জাতীয় প্ল্যাটফর্ম বা ব্যক্তির প্রয়োজন হবে না কারণ কেউ অসহায় বা দরিদ্র থাকবে না।
★ স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
★ স্বৈরাচার উচ্ছেদের আত্মত্যাগ তখনই সফল হবে যখন ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। 'আমরা আমাদের দেশকে স্বৈরাচার থেকে মুক্ত করেছি। এটা আমাদের লক্ষ্যের আংশিক অর্জন। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে।
★ ভোটের ক্ষমতা মানুষের অধিকার রক্ষার শক্তিশালী হাতিয়ার। গণতন্ত্র এখনও বিপদমুক্ত নয়।
★ শক্তিশালী গণতন্ত্র এখনো অনেক দূরে। গত ১৬-১৭ বছরে, লক্ষ লক্ষ ভোটারকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি।
★ কেউ বিএনপি’র নাম ব্যবহার করে কোন অপকর্ম করতে চাইলে, তাকে আইনের হাতে তুলে দিন।
★ ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতিকারীরা আবারো দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। ষড়যন্ত্রকারী  দুষ্কৃতিকারীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। নির্মমভাবে হত্যা তারই ধারাবাহিকতা। সেনাবাহিনীর তরুণ অফিসার মোঃ তানজিম সারোয়ার নির্জনকে হত্যার মাধ্যমে দুষ্কৃতিকারীরা তাদের অবস্থান জানান দিলো। এসব দুষ্কৃতিকারীদের কঠোর হস্তে দমন করতে না পারলে দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা চরম হুমকির পড়বে। ষড়যন্ত্রকারীরা ওঁত পেতে বসে রয়েছে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে ফায়দা লুটতে। আর সেজন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাসহ দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুষ্কৃতিকারীদের দমনে সকল শ্রেণী—পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
★ শুধু আন্দোলন সংগ্রাম নয়, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামেও আমাদের সফল হতে হবে।
★ গত ১৫ বছরে যারা গুম খুন অপহরণের শিকার হয়েছেন ছাত্র জনতার বিপ্লবে হাজারো মানুষ যারা শহীদ হয়েছেন আহত হয়েছেন তাদের এবং তাদের পরিবারের দুঃখ দুর্দশা নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করুন। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধু রাষ্ট্র ক্ষমতার হাত বদল নয় বরং রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন।
★ বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু বিএনপিতে কোনো দুষ্কৃতকারীর ঠাঁই নাই।
★ সংস্কার কার্যক্রমের পথ ধরে নির্বাচনী রোডম্যাপে উঠবে দেশ।
★ বিগত দিনে স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন ভাবে জাতিকে বিভক্ত করেছে। বিএনপি বিভক্তি চায় না, আমরা চাই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে। আমরা চাই সকলকে নিয়ে সরকার গঠন করতে।
★ দেশের মানুষকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা ও সহযোগিতা করা বিএনপি’র পরিকল্পনা, বিএনপি’র চিন্তা।
★ ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক কারণে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ন হবেন না। সংখ্যালঘু জনগোষ্টী কোনভাবেই যেন হেনস্থার শিকার না হন সেটি নিশ্চিত করা আপনার আমাদের সবার দায়িত্ব।
★ বর্তমানে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার এবং তাদের প্রতি অর্পিত যে দায়িত্ব সেটা যথাযথভাবে পালনের জন্য যে রোডম্যাপ, সেটি নির্দিষ্ট করতে হবে তাদেরকেই।
★ বিজয়ের এই আনন্দঘন সময় শান্তভাবে উদযাপন করুন। অনুগ্রহ পূর্বক কেউ প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসা পরায়ন হবেন না। কেউ নিজের হাতে দয়া করে আইন তুলে নিবেন না।
★ ব্যক্তি হিসেবে কারো প্রতি কোনো ক্ষোভ থাকলে প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপ নিন। কিন্তু আপনারা কেউ নিজ হাতে আইন তুলে নেবেন না। অন্যকে নিরাপদ রাখুন। নিজেও নিরাপদ থাকুন।
নিজেদের মহত্ব দিয়ে প্রমান করুন, আপনি আওয়ামী লীগ না, আপনি মানুষ।
★ বিগত ১৭ বছরে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় যে সকল রাজনৈতিক দল ও দলের নেতৃবৃন্দ আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং এখনো আছেন, আমরা চাই সকলকে নিয়েই এ দেশকে পুনর্গঠন করতে।
★ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ প্রদান করা হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর একটি অংশ– এই কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। ফ্যামিলি কার্ড'টি দেয়া হবে পরিবারের মা বা গৃহিণীর নামে। প্রাথমিকভাবে গ্রাম-জেলা পর্যায়ের সুবিধা বঞ্চিতরা এর আওতায় আসবেন।
★ রপ্তানিমুখী বাংলাদেশ গড়তে চায় বিএনপি।
★ দেশে রাজনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির পথও বের করতে হবে। যদি আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে পারি তাহলে আমরা অর্থনৈতিকসহ সবদিক থেকেই মুক্তি পেতে সফল হবো।
★ অধিকার রক্ষায় প্রত্যেক নাগরিকের ভোটের অধিকার একটি শক্তিশালী অস্ত্র। যতদিন পর্যন্ত দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেকটি নাগরিক নির্ভয়ে নিজের ভোট দিয়ে, পছন্দের প্রার্থীকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে জনগণের কাছে জবাবহিদিমূলক একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম না হবে, ততদিন পর্যন্ত কোনো নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষিত নয়।

বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচারের গুণগত মান সাধিত হোক, বিপ্লবের চেতনায় সামনের বাংলাদেশ; সামনের বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির ৩১ দফা রুপরেখা আলোকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি এগিয়ে যাক দূর থেকে বহুদূর এই আশাবাদ রইল।

বিষয়:

লেখকের আরও লেখা

avertisements
নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশন গঠন
নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশন গঠন
বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলায় শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলায় শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
পুলিশের ৩৩তম আইজিপি বাহারুল আলম
পুলিশের ৩৩তম আইজিপি বাহারুল আলম
১৪ ডিগ্রিতে নামল পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা
১৪ ডিগ্রিতে নামল পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সড়কের পর রেল অবরোধ, ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সড়কের পর রেল অবরোধ, ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ
উত্তর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
উত্তর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ
দেড় দশক পর আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
দেড় দশক পর আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে জনগণই হবে সকল ক্ষমতার উৎস : প্রধান উপদেষ্টা
এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে জনগণই হবে সকল ক্ষমতার উৎস : প্রধান উপদেষ্টা
যাত্রাবাড়ীতে অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
যাত্রাবাড়ীতে অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে
শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে
আ'লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি না, ঠিক করবে জনগণ : মির্জা ফখরুল
আ'লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি না, ঠিক করবে জনগণ : মির্জা ফখরুল
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ
গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
কর্ণেল আজিমের রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
কর্ণেল আজিমের রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
অরাজনৈতিক হয়েও রাজনৈতিক হয়রানির শিকার ডা. জুবাইদা রহমান
অরাজনৈতিক হয়েও রাজনৈতিক হয়রানির শিকার ডা. জুবাইদা রহমান
এ প্রতিহিংসার শেষ কোথায়!
এ প্রতিহিংসার শেষ কোথায়!
জার্মান বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়ার মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ
জার্মান বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়ার মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ
বিনিয়োগকারীদের ২৪ হাজার কোটি টাকা লাপাত্তা
বিনিয়োগকারীদের ২৪ হাজার কোটি টাকা লাপাত্তা
গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)
গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)
গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)
গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)
কণ্ঠে আহাজারি শুনি নাই, চোখে আগুন দেখেছি : মির্জা ফখরুল
কণ্ঠে আহাজারি শুনি নাই, চোখে আগুন দেখেছি : মির্জা ফখরুল
ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নতুন নিয়োগ বিধিমালা নিয়ে অসন্তোষ
ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নতুন নিয়োগ বিধিমালা নিয়ে অসন্তোষ
শিক্ষার টেকসই উন্নয়ন, প্রসার ও কর্মমুখীকরণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া ও বিএনপির ভূমিকা
শিক্ষার টেকসই উন্নয়ন, প্রসার ও কর্মমুখীকরণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া ও বিএনপির ভূমিকা
রাজনীতিকে আওয়ামীকরণ
রাজনীতিকে আওয়ামীকরণ
ভোলা থেকে রাতের আঁধারে পালিয়ে এসেছিল এসআই কনক
ভোলা থেকে রাতের আঁধারে পালিয়ে এসেছিল এসআই কনক
ধামরাইয়ে যুবলীগ নেতা সহ ৬ ব্যাক্তির নামে আদালতে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের
ধামরাইয়ে যুবলীগ নেতা সহ ৬ ব্যাক্তির নামে আদালতে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের
ধামরাইয়ে যুবলীগ নেতা সহ ৬ ব্যাক্তির নামে আদালতে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের
ধামরাইয়ে যুবলীগ নেতা সহ ৬ ব্যাক্তির নামে আদালতে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের
ধামরাইয়ে বাসা বাড়িতে দেহ ব্যাবসার অভিযোগ
ধামরাইয়ে বাসা বাড়িতে দেহ ব্যাবসার অভিযোগ
avertisements
avertisements