
অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান/ অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান
তারেক রহমান : তৃণমূল রাজনীতির ‘আইকন’
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১৪ জানুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:০১ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারী, বুধবার,২০২৩

তারেক রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং তৃণমূল রাজনীতির ‘আইকন’। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যার উপর সরাসরি প্রভাব পড়েছে দু’জন মানুষের, তাঁরা হলেন যথাক্রমে তারেক রহমানের পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, জেড ফোর্সের কমান্ডর, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, সফল রাষ্ট্রনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং তাঁর মা, যিনি রাজনীতিতে আপোসহীন নেত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরপর তিনবার সফল প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং ‘মাদার অব ডেমোক্রেসী’ বেগম খালেদা জিয়া।
উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁর ধমণীতে বহমান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের চেতনা। পরবর্তীতে তাঁর মা বেগম খালেদা জিয়ার কর্মজীবনের অনুপ্রেরণা এবং প্রভাব তাঁকে রাজনীতিতে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁর অভিজ্ঞতায় এই সমৃদ্ধতা একটি অনন্য সংযোজন। পাশাপাশি রয়েছে তাঁর নিজস্বতা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ধারায়। তার কর্মপরিকল্পনা, কর্মপরিক্রমা এবং বাস্তবায়নের ধারায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে এদেশের আপামর জনসাধারণ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম। তাঁর গতিশীল রাজনীতি এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে লক্ষ কোটি রাজনৈতিক কর্মী, কৃষক, শ্রমিক পেশাজীবী এবং সুশীল সমাজ।
তারেক রহমানের কর্মস্পৃহা এবং উদ্যমী শ্লোগন হচ্ছে ‘একটি উদ্যোগ একটু চেষ্টা এনে দিবে স্বচ্ছলতা, দেশে আসবে স্বনির্ভরতা’। ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ যাবে কোন পথে ফয়সালা হবে রাজপথে’।
তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ও চেতনাকে উজ্জীবিত রাখার তাগিদে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তাঁর পরিকল্পনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বৃক্ষরোপণ, কৃষিক্ষেত্রে মানুষকে স্বাবলম্বী করার প্রত্যয়ে ছাগল পালন প্রকল্প, ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প, দারিদ্র বিমোচন প্রকল্প এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এছাড়া রাজনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, জাতীয়তাবাদী দলের সকল কর্মী সমর্থক এবং নেতৃবৃন্দকে সাংগঠনিক দিক নির্দেশনা প্রদান, বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারায় তাঁর প্রতিটি কর্মের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা মানুষের মাঝে তাঁকে করে তোলে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো।
তারেক রহমানের কর্মপরিকল্পনায় তাঁর পিতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে। শুধু তাই নয়, তারেক রহমানের চেহারায়ও লক্ষ্য করা যায় এ যেন আর এক অনন্যরূপ জিয়া নতুনভাবে বাংলাদেশের মানুষের সামনে উপস্থিত হয়েছে। তাঁর কথা-বার্তায়, চলা-ফেরায়, বাচন-ভঙ্গী, কাজ-কর্ম সবকিছুতেই যেন শহীদ জিয়ার প্রতিধ্বনি।
তারেক রহমান শুধু জিয়াউর রহমানের ছেলে হিসেবেই আবির্ভূতই হননি; বরং জিয়াউর রহমান যেমন গণমানুষের রাজনীতি এবং উন্নয়নের ধারায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন ঠিক তেমনি তারেক রহমানও বুঝতে পেরেছেন গ্রামমুখী উন্নয়ন ব্যতিরেকে একটি দেশকে কখনও আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি উন্নয়ন এবং নেতৃত্বকে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করেন এবং তা সফলভাবে গণমানুষের মধ্যে বিস্তার ঘটাতে সক্ষম হন।
তারেক রহমান যখন দেশের উন্নয়নের গতিশীলতা আনয়নে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন, ঠিক তখনই দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক একটি মহল ষড়যন্ত্র শুরু করে। যে কোন মূল্যেই হোক তারেক রহমানের গতিকে প্রতিহত করতে হবে। তারই পদক্ষেপ হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে জনগণের সামনে হেয় প্রতিপন্ন করার কাজে ষড়যন্ত্রকারীদের কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষ এখন বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে, দেশপ্রেমিক এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী কোন ব্যক্তিত্বকে সাময়িকভাবে প্রতিহত করা গেলেও চূড়ান্তভাবে কাউকে গণমানুষের কাছ থেকে দূরে রাখা সম্ভব নয়। সাংগঠনিকভাবে বিএনপিকে তারেক রহমান সক্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেসব উদ্যোগের অংশ হিসেবে তিনি অনুষ্ঠান করেন তৃণমূল সংগঠন। তারেক রহমান উপলব্ধি করেছিলেন তৃণমূল সংগঠন শক্তিশালী না হলে তা কখনও (Sustainable) ‘টেকসই’ হবে না। সে লক্ষ্যে তারেক রহমান গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি নিজেকে উপস্থিত করেছিলেন। প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন, থানা ও জেলায় প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পন্থায় নেতৃত্ব নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক চর্চার এক অভাবনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এর মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন গ্রামের মানুষের প্রাণের কথা, দুঃখ দুদর্শা কষ্ট-বেদনার কথা। ফলে বিএনপিকে তৃণমূল সম্মেলনের মাধ্যমে অভাবনীয়ভাবে জাগ্রত করে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন তারেক রহমান।
তারেক রহমানের এরূপ কর্মপরিকল্পনায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, নতুন প্রজন্ম এবং অনেক শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উচ্ছসিত হলেও শেখ হাসিনা মোটেই খুশী ছিলেন না। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা এবং সুস্থধারার রাজনীতি শেখ হাসিনা কখনও ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেননি যার প্রমাণ এ জাতি অনেকবার প্রত্যক্ষ করেছে। শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছিলেন তারেক রহমানের অগ্রযাত্রাকে যদি থামানো না যায় তাহলে ভবিষ্যত কান্ডারী হিসেবে তার দলে তারেক রহমানকে মোকাবিলা করার মত তেমন কেউ নাই। তারেক রহমান ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ অর্থাৎ ঘুরে দাড়াও বাংলাদেশ। ‘বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে’। ‘আপনার ভোট আপনি দিবেন, যাকে খুশি তাকে দিবেন’ এইসব শ্লোগান দিয়ে সুদূর দূর দেশ থেকেও জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছেন সাঁড়া জাগিয়েছে গোটা দেশে। যার ফলশ্রুতিতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পতাকা তলে লক্ষ লক্ষ মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করছে। তারেক রহমানের যোগ্য নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশের মানুষ ফুসে উঠেছে যা প্রকারান্তরে সুনামীতে পরিণত হয়েছে।
শহীদ জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে তারেক রহমান জনগণের আকাঙ্খাকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন। দেশ আজ ক্ষত বিক্ষত। তারেক রহমান বিশ্বাস করেন, ক্ষত বিক্ষত বাংলাদেশকে শূণ্য থেকে নতুন করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন দেশপ্রেমিক, মেধাবী, উদ্যমী এবং নিবেদিত প্রাণ। সে লক্ষ্যেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন এবং মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিলে যেসব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল শামিল হবে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনোত্তর ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করা হবে। শুধু তাই নয় শহীদ জিয়ার মত তিনিও বিশ্বাস করেন দেশ বরেণ্য ব্যক্তিদের দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ জরুরী। সে লক্ষ্যে তিনি ‘দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট’ গঠনের কথাও বলেছেন, যেখানে দেশ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ তাঁদের মেধা, মনন এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবেন।
বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষ যেন তারেক রহমানের মধ্যে অন্য এক জিয়াউর রহমানকে খুঁজে ফিরে। বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শহীদ জিয়ার মতো সৎ, যোগ্য, নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়কের। রাজনীতিকরা বর্তমানকেই মূখ্যজ্ঞান করে বর্তমানেই বসবাস করতে চান। রাষ্ট্রনায়ক কিন্তু বর্তমানে বসবাস করেও অতীতকে ভোলেন না এবং ভবিষ্যতকে সামনে রেখে পথ রচনা করেন।
রাজনীতিকরা রাজনৈতিক দলকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন, রাষ্ট্রনায়ক কিন্তু রাজনৈতিক দলকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে দলের উর্ধ্বে যে জাতি ও জনগণ তাদের প্রতিই হন অধিক আকৃষ্ট। তারেক রহমান বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের গণমানুষের জন্য তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে এমনিভাবে এগিয়ে চলেছেন। তারেক রহমান আপনি এগিয়ে যান দৃঢ় চিত্তে। এ দেশের মানুষ শত শৃঙ্খল ভেঙে আপনাকে মুক্ত করে একদিন মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করবেই ইনশাআল্লাহ।
লেখক : ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, প্রফেসর, লোক প্রশাসন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া এবং সহ-সভাপতি, ইউট্যাব। ড. মোর্শেদ হাসান খান, শিক্ষক, মার্কেটিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, বিএনপি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও মহাসচিব (ইউট্যাব)।

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়াল

রাজধানীতে বিএনপি’র পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত

বিদেশি ঋণ বেড়ে ৯৩ বিলিয়ন ডলার

‘২০২৬ পর্যন্ত দেউলিয়া থাকবে শ্রীলঙ্কা’

বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশী সাজা দিয়ে আটক রাখা হয়েছে : মির্জা ফখরুল

অশান্তির জবাব কিভাবে দিতে হয় সেটা শিগগিরই দেখতে পাবেন : আব্বাস

বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় রাজি নয় আদানি

বিমানের ১৭ কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

বিএনপির ১০ দফা এবং ২৭ দফার ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে : আমীর খসরু

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়াল

মুঠোফোনে আড়িপাতা বেআইনি : জি এম কাদের

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালত বর্জন : আইনজীবী ছাড়াই চলছে বিচারপ্রার্থীদের শুনানি

৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পাওয়া গেছে : প্রকল্প পরিচালক

ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল

শাজাহানপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সফল করতে বিএনপির প্রস্তুতি সভা

কর্ণেল আজিমের রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

অরাজনৈতিক হয়েও রাজনৈতিক হয়রানির শিকার ডা. জুবাইদা রহমান

এ প্রতিহিংসার শেষ কোথায়!

জার্মান বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়ার মাতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ

বিনিয়োগকারীদের ২৪ হাজার কোটি টাকা লাপাত্তা

কণ্ঠে আহাজারি শুনি নাই, চোখে আগুন দেখেছি : মির্জা ফখরুল

গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)

গুন্ডা-মাস্তান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছি-শামিম (ভিডিওসহ)

ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নতুন নিয়োগ বিধিমালা নিয়ে অসন্তোষ

শিক্ষার টেকসই উন্নয়ন, প্রসার ও কর্মমুখীকরণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া ও বিএনপির ভূমিকা

ভোলা থেকে রাতের আঁধারে পালিয়ে এসেছিল এসআই কনক

ধামরাইয়ে বাসা বাড়িতে দেহ ব্যাবসার অভিযোগ

রাজনীতিকে আওয়ামীকরণ

মোদি-বিরোধী প্রতিবাদে মৃত্যুর তদন্ত চেয়েছে ১১টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন
