রাশেদ চিশতীর জামিন আবেদন খারিজ, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর জামিন বহাল রেখে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। 

আজ মঙ্গলবার রাশেদুলের আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দেয়া হয়। 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলাটির বিচার যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে রাশেদুলকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে, বলছেন আইনজীবীরা। এর আগে এই মামলায় গত বছরের ১৯ মে বিচারিক আদালত থেকে জামিন পান রাশেদুল। এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টে আবেদন করলে রুল হয়। জামিন আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়। এই রুল খারিজ করে গত ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। ফলে রাশেদুলের জামিন বহাল থাকে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে, যা ১ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত রাশেদুলের জামিন বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। সেই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে দুদককে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় দুদক লিভ টু আপিল করে। রাশেদুলও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনগুলো ২৭ মে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। সেদিন শুনানি নিয়ে আদালত ১ জুন পরবর্তী শুনানির তারিখ রাখেন। আজ শুনানি নিয়ে আদেশ দেয়া হয়। আদালতে রাশেদুলের পক্ষে আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাহরিয়া কবির। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, তার স্ত্রী রুজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় এই মামলা করে দুদক।