শাইখ সিরাজের বিরুদ্ধে মামলা করলেন উপস্থাপিকা ফারজানা ব্রাউনিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ০৮:৪৮ এএম, ৩ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে ফারজানা ব্রাউনিয়া তার উপস্থাপনা ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে তিনি চ্যানেল আইতে যোগ দেন এবং ‘লেটস মুভ’, ‘হাঁড়ি কড়াই রান্নার লড়াই’ এবং ‘চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ’সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। বহুদিন মিডিয়ায় অনুপস্থিত থাকলেও হঠাৎ করে চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন ব্রাউনিয়া।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালতে প্রতারণা মামলাটি দায়ের করেন ফারজানা ব্রাউনিয়া। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
শাইখ সিরাজ ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন, মুকিত মজুমদার বাবু, আব্দুর রশিদ মজুমদার পারভেজ এবং রিয়াজ আহম্মেদ খান।
ফারজানা ব্রাউনিয়া ২০১৪ সাল থেকে ‘স্বর্ণ কিশোরী’ নামে একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা ও উপস্থাপনা করছিলেন, যা কিশোরী ও কিশোরদের উন্নয়নে অবদান রাখছিল। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনের পক্ষে কথা বলায় তাকে চ্যানেল আই থেকে কোনো নোটিশ ছাড়াই বরখাস্ত করা হয়।
ফারজানা বলেন, বরখাস্তের পর তাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল যে, যতদিন তাকে লিখিতভাবে বরখাস্ত না করা হচ্ছে, ততদিন তিনি মাসিক বেতন পাবেন। তবে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার মোট ৭৯ লাখ টাকার পাওনা বেতন চ্যানেল আই পরিশোধ করেনি। তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেও কোনো জবাব পাননি, বরং আসামিরা তাকে হুমকি দিয়ে ৫০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।
ফারজানা ব্রাউনিয়া আরো অভিযোগ করেন, শাইখ সিরাজের নির্দেশেই ‘স্বর্ণ কিশোরী’ অনুষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়, যার ফলে কিশোরীদের পুষ্টি ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তার দাবি, শেখ হাসিনার নির্দেশে শাইখ সিরাজ অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন, যা দেশের কিশোরী জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে দেয়।
বর্তমানে মামলাটি নিয়ে সিআইডি তদন্ত করছে এবং তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।