শিবালয়ে যুবতীকে ধর্ষন, থানায় মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৪ এএম, ২৬ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৪৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
শিবালয়ে জোর পূর্বক এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ আলামিন জোয়ারদ্দারর (২৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে ভিকটিমের মা।
জানা গেছে, অভিযুক্ত আলামিন জোয়ারদ্দার শিবালয় উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামে ওমর আলী জোয়ারদ্দারের ছেলে। সে গত ১লা মে শনিবার বিকেলের দিকে যুবতীর মা বাড়িতে না থাকায় সে সুযোগে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে আলামিন জোয়াদ্দার তাকে প্রথমে জরিয়ে ধরে। যুবতী আত্ম- চিৎকারের চেষ্টা করলে তার মুখে উরনা দিয়ে চেপে ধরে বলে আমি তোমাকে বিয়ে করবো । এভাবে জড়াজরির করার পর যুবতী শক্তিহীন হয়ে পরায় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। এক পর্যায়ে ঘরের মেঝতে ফেলে রেখে চলে যায় ওই অভিযুক্ত আলামিন। এর পর যুবতীর মা বাড়ি এসে দেখে আলামিন জোয়ারদ্দার তার বাড়ি থেকে নেমে যায় এবং সে ঘরে ঢুকে দেখে তার মেয়ে ঘরের মেঝতে পরে আছে।
এ সময় মেয়েকে বলে তোর এ অবস্থা কেন? তখন তার মায়ের কাছে বিস্তারিত ঘঁনার বর্ননা করে। পরবর্তীতে যুবতীর মা আত্মীয় স্বজনদের এবং এলাকার গন্যমান্যদের নিকট বিষয়টি জানান।
এরপর ৩ মে সোমবার সন্ধ্যায় ওই যুবতী বিয়ের দাবিতে আলামিনের বাড়িতে গেলে অভিযুক্তের ভাই সোলায়মান, ওমর আলী, হাবীয়া, ফরিদা ও চাচা গফুরসহ তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাতে রাখে। পরদিন অভিযুক্তের ভাই সোলেমান ভোরে স্থানীয় সন্ত্রাস বাহীনি দিয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিও হুমকি দেয়। আলামিনের মা হাবিয়া বেগম যুবতীর চুলের মুঠি ধরে লাথি মেরে ফেলে এরপর এলোপাথাড়ি ভাবে কিলঘুষি মারে। এসময় সঙ্গে থাকে আলামিনের ভাবি ফরিদা বেগম তিনিও অমানবিক ভাবে অত্যাচার করে যুবতী প্রতি। আলামিনের বাবা ওমর আলী যুবতীকে বিভিন্ন ভাবে আঘাত করে এবং অভিযুক্তের চাচা প্রাননাশের হুমকি দামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যুবতীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
পরে যুবতীর মা বাদী হয়ে (১৭ মে) শিবালয় থানায় আলামিন জোয়ারদ্দারসহ ৫ জনের বিরদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী যুবতী জানান ,বিয়ের প্রলোভনে জোর পূর্বক আমাকে ধর্ষন করে আলামিন জোয়ারদ্দার। বিয়ের দাবীতে অভিযুক্ত আলামিনের বাড়িতে গেলে তারা আমাকে এক রাত রাখে। পরদিন ভোরে তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে জুলুম অত্যাচার করে তাদেও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে আমার মা বাদী হয়ে শিবালয় থানায় মামলা করে। এর পর থেকে আমার এবং পরিবারের উপর হুমকি দামকি দেওয়া হচ্ছে এবং আমার বাবার কর্ম বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমি ও আমার পরিবার চরম নিাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং মানবেতর জীবন যাপন করছি। তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন।
এ বিষয়ে শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর জানান, মামলাটি তদন্তধীন আবস্থায় রয়েছে এবং আসামী গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।