বগুড়ায় মাটি-চুনাপাথর-সিমেন্ট দিয়ে ভেজাল সার তৈরি, কারখানা সিলগালা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫২ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৯:৫৩ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বগুড়া সদরে অবৈধ ও ভেজাল সার তৈরির দায়ে একটি কারখানা সিলগালা ও মালামাল জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন।
গতকাল শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় দিকে সদরের চারমাথা গোদারপাড়া বাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ও সরাসরি অংশগ্রহণে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সাদমান আকিফ।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এনএসআইয়ের গোপন তথ্য ছিল গোদারপাড়া বাজার এলাকায় আবাসিক বাড়িতে ভেজাল সার তৈরি করা হয়। এ তথ্যের ভিত্তিতে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে একটি যৌথবাহিনী দল ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানায় কর্মকর্তারা পালিয়ে যান। এ সময় দুজন শ্রমিক আটক হন।
অভিযানে কারখানা থেকে ভেজাল টিএসপি সার, কীটনাশক, বাসুডিন, ফুরাডিন, ফসফরাস, সালফার, জিংকসহ প্রায় ২০টিরও অধিক কোম্পানির মোড়কজাত করা ভেজাল সার ও সার তৈরির কাঁচামাল (মাটি, পাথর, চুনাপাথর, সিমেন্ট ও অন্যান্য কেমিক্যাল), সার তৈরির সরঞ্জামাদি ও বিভিন্ন কোম্পানির নকল মোড়ক ও লেভেল উদ্ধার করা হয়।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গৌতম ও সুলতান নামে দুজন ব্যক্তি বাড়িটি ভাড়া নিয়ে সেখানে কারখানা পরিচালনা করছিলেন।
অভিযান শেষে বগুড়ার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ কারখানাটি সিলগালা করেন। আর উদ্ধারকৃত মালামাল সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কে এম মুনছুর রহমানের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
এই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, আটক হওয়া ২ জন শ্রমিকের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর কারখানাটি সিলগালা অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে মামলা এখনও হয়নি। তবে মামলার প্রস্ততি চলছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, এ কারখানা গৌতম ও সুলতান নামে দুই ব্যক্তি চালাতো। তারা অবৈধ সার ব্যবসা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।