পাটুরিয়ায় অবৈধ বালু ব্যবসার মামলা তদন্তে ডিবি পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৯ পিএম, ২০ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:০১ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয়ের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ফোরশোর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ’র দায়েরকৃত মামলা তদন্তে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে।
জানা গেছে, পাটুরয়া ফেরিঘাট এলকায় বিআইডব্লিউটিএ’র ফোরশোর এরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভেকু ও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল একটি মাটি খেকো চক্র। প্রভাবশালী অবৈধ বালু ব্যবসায়ি চক্রটির বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিএ’র আরচা বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে শিবালয় থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অবৈধ বালু ব্যবসার মুল হোতাদের বাইরে রেখে আরিচা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। মামলার ৫দিন অতিবাহিত হলেও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করে মামলাটি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন রাজনৈতিকন মহলে তদবির চালিয়ে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অবৈধ বালু ব্যবসার নেপথ্যে শিবালয় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা আব্দুর রহিম খান, শিবালয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল, আরুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম, শ্রমিক লীগ নেতা মিলন কাজী, আমিনুল ইসলাম মিন্টু, মো. মানিক, মোনতাজ উদ্দিন (মোনতাজ মাস্টার) ও পান্নু মন্ডলরা দীর্ঘদিন ধরে পাটুরিয়া ফেরিঘাট ফোরশোর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।
গত বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিএর আরিচা নদী-বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা অবৈধ বালু ব্যবসার মুল হোতাদের বাইরে রেখে ৬ জনকে আসামী করে শিবালয় থানায় দায়সারা মামলা করেন। ওই মামলায় আমিনুল ইসলাম মিন্টু, মানিক, মোন্তাজ উদ্দিন, পান্নু মন্ডল, আলমগীর ও পলাশকে আসামী করা হয়েছে। অথচ অবৈধ বালু ব্যবসার মুল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা নদী-বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বলেন, অবৈধ ভাবে বাল উত্তোলনের মাধ্যমে ব্যবসা করার অপরাধে ইতোমধ্যে ৬ জনকে আসামী করে শিবালয় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। অবৈধ বালু ব্যবসার সাথে যতবড় রাঘব-বোয়াল জড়িত থাক না কেন তাদেরকেও মামলার আওতায় আনা হবে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হানিফ সরকার বলেন, শিবালয় থানায় বিআইডব্লিউটিএ’র দায়ের করা মামলা সঠিক তদন্তের জন্য পুলিশ সুপার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। মামলা তদন্ত ও আসামীদের গ্রেফতারে জোর চেষ্ঠা চলছে।