পিকে হালদারসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে সাত মামলা অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৬ এএম, ১৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৩ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে সাতটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ৩২০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পিকে হালদার (প্রশান্ত কুমার হালদার) ও তার ২৯ সহযোগীর বিরুদ্ধে পৃথক সাতটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রবিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয় বলে সংস্থাটির জনসংযোগ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আরও ৫টা মামলা রুজু ও ২টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাশেদুল হক, নয়জন বোর্ড মেম্বার, পি কে হালদারের আত্মীয়সহ মোট ২৯ জনকে এসব মামলার আসামি করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বোর্ডের সদস্যরা প্রতারণার মাধ্যমে জাল কাগজপত্র তৈরি করে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ঋণ পেতে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেন এবং সংশ্লিষ্ট ঋণের বেনিফিশিয়ারি কর্তৃক ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ৩০০ কোটির বেশি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। পরে বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ওই অর্থ বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে পাচার করেছেন।
দন্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২), (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়।
দুদক জানায়, ১২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের নামে এ পর্যন্ত মোট মামলা হয়েছে ১৫টি। যেখানে মোট আসামি করা হয়েছে ৩৭ জনকে। এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ১১ জনকে আর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে ৬৯ জনের।
এর আগে, গত ১০ নভেম্বর ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, ১ কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলার পাচার ও ১২ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগে পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগপত্র দেন উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন।