কুষ্টিয়ার খোকসায় বৃদ্ধ ও নারীর ওপর হামলায় মামলা, আটক-৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ২৮ মে,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:২৯ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারী ও বৃদ্ধসহ চারজন আহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত (২৬মে) বুধবার রাতে আট জনের নাম উল্লেখ করে থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা করেন বাদী আব্দুর রাজ্জাক।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চকরিপুর গ্রামের হঠাৎপাড়ায় ছাগলে পাট গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য যে, গত ২২ শে মে (শনিবার) দুপুরে চকরিপুর গ্রামের হঠাৎপাড়ার ইসমাইল (৭০) এর পাটের খেতে ছাগল ঢুকে পাট গাছ খায় প্রতিবেশী হান্নানের (৪৫) ছাগল। প্রতিবেশী হান্নানের ছাগল পাট গাছ খাওয়ায় ছাগল বেধে রাখতে বলে ইসমাইল হোসেন। আর ছাগল বেধে রাখতে বলার প্রেক্ষিতে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়।
এসময় প্রতিবেশিরা সমঝোতা করে দিলে একপর্যায়ে তারা দুজনই শান্ত হয়ে নিজ নিজ বাড়ি চলে যায়। কিন্তু গত রবিবার (২৩শে মে) সকালে ইমাঈলের নাতি ছেলেকে হান্নানের ছোট ছেলে আলীরাজ (১৫) খেলার ছলে মারপিট করে। এরপর হান্নান, রবেল, জিন্না, তৈয়ব, নাজিম খান, উসমান, আলীরাজসহর অজ্ঞাত আরও ৩/৪ মিলে ইসমাইলের বাড়িতে রড, হাসুয়া, বাটামসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ইসমাইল ওপর।
এসময় বৃদ্ধ ইসমাইলকে মারপিট থেকে বাঁচাতে ইসমাইলের স্ত্রী রোমেছা খাতুন, মেয়ে নাসিমা খাতুন, ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও তার স্ত্রী শিলা খাতুন ছুটে আসলে তাদেরকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে।
পরবর্তী সময়ে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে খোকসা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় ইসমাইল, তার স্ত্রী রোমেছা খাতুন ও তার মেয়ে নাসিমা খাতুন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গ্রেফতারের পর খোকসা থানার সাব-ইন্সপেক্টর প্রশান্ত দাস জানান, মারপিট করায় আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর খোকসা থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদারের নির্দেশনায় আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাতেই এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের আটক করি।
এ বিষয়ে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, বাদী আব্দুর রাজ্জাকের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতেই খোকসা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ জন আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়, এবং পরবর্তীতে আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।