শৈলকুপা এলজিইডি অফিসে তিন ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ৩০ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:২২ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ঝিনাইদহের প্রতিষ্ঠিত তিন ঠিকাদারকে মারধর করা হয়েছে। এ নিয়ে ঠিকাদারদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত বুধবার দুপুরে জেলার শৈলকুপা উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসে তাদের মারধর করা হয়। বিষয়টি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। মারধরের শিকার তিন ঠিকাদার হলেন ঝিনাইদহের সাজেদুর রহমান নিপুল, শুভংকর দত্ত গোবিন্দ ও রিয়াজ উদ্দীন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, শৈলকুপা উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরের একটি দরপত্রে অংশ গ্রহন করেন প্রায় সাড়ে চার’শ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
লটারিতে কাজ পান মারধরের শিকার তিন ঠিকাদার। চুক্তিপত্রে সাক্ষর করার জন্য কাজ পাওয়া ঠিকাদারা অফিসের দারস্থ হলে শৈলকুপা উপজেলা প্রকৌশলী রওশন হাবিব ২% ঘুষ দাবী করেন। পরবর্তীতে ১% ঘুষ দিতে রাজি হন ওই তিন ঠিকাদার।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় শৈলকুপা উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কমিউনিটি অর্গানাইজার ফজলুর রহমান চুক্তি সম্পাদনের জন্য ঠিকাদারদের অফিসে যেতে বলেন।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে ঠিকাদাররা অফিসে গেলে ফজলুর রহমান স্থানীয় এমপি ও তাদের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। ঠিকাদাররা এ সময় জানান তারা লটারিতে কাজ পেয়েছেন কেন এমপির লোকদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ কথা বলার পর ফজলুর রহমান তার নিয়োজিত পেটোয়া বাহিনীকে খবর দেন।
অফিসের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ঠিকাদার সাজেদুর রহমান নিপুল, শুভংকর দত্ত গোবিন্দ ও রিয়াজ উদ্দীনকে মারধর করা হয়। ঠিকাদারদের অভিযোগ চাকরী থেকে অবসর গ্রহনের পরও দুর্নীতিবাজ ফজলুর রহমান সন্ত্রাসীদের দিয়ে শৈলকুপা এলজিইডি অফিস নিয়ন্ত্রন করেন। তার নেতৃত্বে হয় টেন্ডারকাজী। অফিসের যাবতীয় ঘুষ আদায় করেন ফজলু। কথা না শুনলে ঠিকাদারদের মারধর করেন।
এর আগে শৈলকুপার জালাল উদ্দীন নামে আরেক ঠিকাদারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দীন বৃহস্পতিবার রাতে গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত। অফিসে ঠিকাদারকে মারধর করা ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
আমি শৈলকুপা উপজেলা প্রকৌশলী রওশন হাবিবকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তিনি বলেন ২% ঘুষ নেওয়ার কথাটি সঠিক নয়। নির্বাহী প্রকৌশলী আরো জানান, অফিস থেকে অবসর নেওয়া একজন কর্মচারী কেন অফিসে বসেন সে ব্যাপারে আমি চিঠি দিয়ে উপজেলা প্রকেশৈলীকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।