রৌমারীতে ব্রম্মপুত্র নদের তীর সংরক্ষণ কাজ স্থবির, নদী ভাঙ্গনের আতংকে এলাকাবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩১ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার ব্রম্মপুত্র নদের বামতীর সংরক্ষণ কাজের বরাদ্দ ৪৭৯ কোটি ২৩ লাখ টাকার ৭.৩ কিলোমিটার রক্ষা কাজ স্থবির হয়েছে। এতে রৌমারী উপজেলার সাহেবের আলগা, ঘুঘুমারী, খেড়–য়ারচর, খেদাইমারী, চর খেদাইমারী, বলদমারা, বাইশ পাড়া, ফলুয়ারচর, পালেরচর, চর বাঘমারা, চাক্তাবাড়ী, দিগলা পাড়া, ধনারচর, রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি, চর রাজিবপুর ও মহনগঞ্জ এলাকার ব্রম্মপুত্র নদের ভাঙ্গন ঠেকানো যাবে না। নদে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে শতশত বাড়িসহ আবাদি জমি। অন্যদিকে তীর সংরক্ষণ কাজ সংলগ্ন স্থানে অবৈধ ভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করায় নদের তীর ভাঙ্গনে নদের উপর বসবাসরত মানুষ আতংকে।
নদ ভাঙ্গন ঠেকাতে সুযোগ্য প্রধানমন্ত্রী হতদরীদ্র মানুষের মায়াবতী মা নদীর তীর ও ফসলী জমি ভাঙ্গন রক্ষায় রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার ব্রম্মপুত্র নদের বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প তীর সংরক্ষণ কাজ।
সূত্র মতে জানা গেছে ৭.৩ কিলো মিটারের বিপরিতে ৪৭৯ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত মূল্য ব্যায়ে ১৫ টি প্যাকেজ ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজটি চলমান। বর্ষা ও বন্যার আগ মূহুর্ত এসে ঠিকাদারগণ তীর সংরক্ষণ কাজটি বন্ধ রেখেছে।
গতকাল সোমবার (২৬ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে ব্রম্মপুত্র নদ বসবাসরত এলাকাবাসী মানুষের সঙ্গে কথা বললে, তারা ভারাক্রান্ত মনে অভিযোগ করে বলেন, বর্ষা ও বন্যার আগে নদের বামতীর সংরক্ষণ কাজ শেষ ও অবৈধ ভাবে ড্রেজারে বালু উত্তোলনের মেশিন বন্ধ করতে না পারলে ভাঙ্গন রোধ থেকে আমরা রক্ষা পাবো না। নিস্বঃ হয়ে যাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, জমাজমি ও গাছ পালা। ধুকে ধুকে মরে যাবো স্ত্রী সন্তান নিয়ে।
বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার বলেন, সামনে বর্ষাকাল এবং বন্যা শুরু হবে। এর আগে মোটা মোটি ভাবে কাজটি শেষ করতে না পারলে নদী ভাঙ্গণ থেকে রক্ষা পাবে না এলাকাবাসী। এতে ক্ষতি হয়ে যাবে সরকারের বরাদ্দের অর্থ। অন্যদিকে মানুষের ঘরবাড়ি ও জমাজমি। এতে দেখানো হবে পানিতে ভেসে গেছে মালামাল পকেট ভরবে অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের।
তীর সংরক্ষণ কাজের তদারকিতে থাকা দায়িত্বরত সাব-এসিস্টেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ফকরুল হাসান ও শামিম বলেন, সরকারী ভাবে অর্থের যোগান দিতে না পারায় কাজটি ধীরগতিতে রয়েছে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, আমি শুনেছি তীর সংরক্ষণ কাজটি বন্ধ রয়েছে। তবে তারা জানিয়েছে তারাতারি কাজ শুরু করবে। অপরদিকে অবৈধভাবে ড্রোজারে বালু উত্তোলন করা মেশিন গুলি একদিকে বন্ধ করে দিয়ে আসি অন্য দিকে কিভাবে চালু হয় আমি জানি না। তবে রৌমারীতে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলনে প্রভাবটি অনেক বেশী হয়েছে। আমি একা কিছুই করতে পারছি না।
জেলা পানি উন্নয়ন বোড নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্রম্মপুত্র নদের বামতীর সংরক্ষণ কাজের বিষয়ে বারবার মোবাইল ফোনের এ নম্বর ০১৭১০৩৩২২৬২ মাধ্যমে জানার চেষ্টা করলে তিনি মোবাইল ফোনের রিং অনেক সয়ম কেটে দেন এবং অনেক সময় রিসিভও করেন না। #
এলাহি শাহ্রিয়ার নাজিম।