গুম খুনের আতংকে বিরোধী দল ও মতের লোকেরা আজও ভীত সন্ত্রস্ত : এবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১২ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩৩ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, যে সকল দেশ আমাদের সমসাময়িক সময়ে স্বাধীন হয়েছে তারা আমাদের চাইতে অনেক বেশী সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। কিন্তু আমরা এখনও গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করছি। গুম খুনের আতংকে বিরোধী দল ও মতের লোকেরা আজও ভীত সন্ত্রস্ত।
এর আগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার সকালে এবি পার্টি রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রা শেষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
পরে সকাল ১০টায় পল্টন বিজয় নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা বাংলাদেশের জনগণের এক অবিস্মরণীয় অর্জন। আমাদের মতো লড়াই-সংগ্রাম ও অসীম ত্যাগ স্বীকার করে স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস বিরল।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এর প্রতি সরকারি দলের নেতা ও মন্ত্রীদের অকূটনৈতিক মনোভাবের তীব্র সমলোচনা করে তিনি বলেন, সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণ থেকে আজকে বন্ধু রাষ্ট্রের কূটনীতিকরাও রেহাই পাচ্ছে না। বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার প্রবণতাকে সরকারের ঘৃণ্য পৈশাচিক আচরণ উল্লেখ করে এসব অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান তিনি।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো শেষে নাগরিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু।
এ সময় মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ছিল বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে বীর সন্তানদের জীবন বিলিয়ে দেয়া মুক্তি অর্জনের স্বপ্নযুদ্ধ। ১৬ ডিসেম্বর যে বিজয় অর্জিত হয়েছে তার অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারেনি আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দ। ৭০’র নির্বাচনের সূত্র ধরে দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু এখন নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে বিপন্ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সেক্যুলার, রাজাকার ও স্বৈরাচার ক্ষমতার জন্য এক টেবিলে বসতে পারে কিন্তু দেশের জন্য তারা এক হতে পারে না। বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে জাতীয় ঐক্য ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, যুবপার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম ইলিয়াস আলী, দলের সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার ফারুক, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব ফিরোজ কবীর, সহকারী প্রচার সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন শরিফ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গাজী নাসির, শাহজাহান ব্যাপারী, আব্দুল হালিম খোকন, সেলিম খান, আব্দুল হালিম নান্নু, আল আমিন প্রিন্স, যুবনেতা তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, সাইফুল মির্জা, শেখ লুৎফর রহমান, নারী নেত্রী আমেনা বেগম, ফেরদৌস আক্তার অপি, রুনা হোসেন, সহ মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও যুবপার্টির বিভিন্ন পার্যায়ের নেতৃবৃন্দ।