শেরপুরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১১ এএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য মো. খোরশেদুজ্জামানকে জড়িয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সহ অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রতিবাদ সভায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. খোরশেদুজ্জামান লিখিত বক্তব্যে তাকে জড়িয়ে প্রকাশিত খবরকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, মানহানিকর ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। সেইসাথে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খন্ডনে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।
এসময় তিনি বলেন, নিজ ইউনিয়নের মুকসুদপুর এলাকার যে মেয়েকে নাবালিকা দাবি করা হয়েছে, সে মূলতঃ সাবালিকা এবং প্রতিবেশী এক যুবকের সাথে প্রেমঘটিত বিষয়ে সে চলে গিয়ে বিয়ে করে। এই বিয়ের আগেই মেয়েটির পিতা স্বয়ং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার জন্মনিবন্ধন সংগ্রহ করেছেন।
আর এই ঘটনায় মেয়ের অভিভাবকের দায়ের করা মামলায় আপোসের শর্তে তার কাছে নয়, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে ৩০ হাজার টাকা ছেলেপক্ষ জমা রাখলেও পরবর্তীতে আপোসরফা ভেঙে যাওয়ায় মেয়েপক্ষ সে টাকা পায়নি।
পরবর্তীতে ওই ছেলে-মেয়ের মধ্যে তালাক হয়ে যায় এবং মেয়েটি সাবালিকা হওয়ায় বর্তমানে শ্রীবরদী এলাকায় নতুন করে বিয়ে করে সংসার করছে।
আর মুন্সীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মুন্সীরচর মতিজান উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূমিতে মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এ প্রতিষ্ঠান দু'টির জমিদাতা তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরাই। এর আগে প্রায় ৮ মাস পূর্বে ওই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করা হলেও উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সরেজমিন তদন্তে তার সত্যতা মেলেনি।
এছাড়া তিনি শহরের চকপাঠক মহল্লায় অবৈধ টাকায় ভবন নির্মাণের অভিযোগটিও সাজানো ও তথাকথিত দাবি করে বলেন, ওই এলাকায় মোট ৯ শতক ভূমির মধ্যে সাড়ে ৭ শতক ভূমি প্রায় ৩৫ বছর আগে তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এবং অবশিষ্ট দেড় শতক ভূমি ২০০৭ সালে নিজের ক্রয় করা।
এছাড়া তার স্ত্রী সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করায় তার পেনশন ও জিপি ফান্ডসহ অন্যান্য তহবিলের টাকায়, অপর এক সহোদর ছোটভাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করায় তার কাছে নেওয়া হাওলাদি টাকাসহ নিজের মালিকানাধীন জায়গা-জমি বন্ধক রেখে ওই ভবনটি নির্মাণ করছেন।
তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো কি ভিত্তিহীন, কেনই এই অভিযোগগুলো উঠেছে এমন প্রশ্ন সাংবাদিকরা করলে তার জবাবে তিনি বলেন,স্থানীয় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাব্বির হোসেন খোকন সহ অন্যান্যরা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে সাংবাদিকদের ভূল তথ্য দিয়ে নিউজ করাচ্ছে আমাকে হেয় করার জন্য।
এদিকে এব্যাপারে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাব্বির হোসেন খোকন বলেন, এই ঘটনায় আমি কোন ভাবেই জড়িত না বরং তার দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি যখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং ইউনিয়নের সর্বত্রই যখন এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে তখন তিনি তার দূর্নীতি আড়াল করতে অন্যান্যদের দোষ চাপাতে চাইছেন।
এসময় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলী সহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।