ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চট্টগ্রাম নগরীতে নিজেকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিজিত ঘোষ (২৩) নামে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণীও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গতকাল শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার থেকে তরুণীর মামলার ভিত্তিতে প্রতারক অভিজিত ঘোষকে আটক করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মামলার অপর আসামি অভিজিতের বন্ধু সত্যজিত এখনো পলাতক আছেন।
গ্রেপ্তার অভিজিৎ ঘোষ বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদণ্ডী এলাকার আশীষ কুমার ঘোষের ছেলে। সে নগরীর খুলশি এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি পোর্টসিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি অভিজিত ফেসবুকের মাধ্যমে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী সুমনা রায়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। নিজেকে সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ হতে অনার্স সম্পন্ন করে ১২তম ব্যাচের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে পরিচয় দেয়। পরে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দিয়ে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এছাড়া আসামি নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবের ছেলে বলে পরিচয় দেয়।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, প্রতারক অভিজিত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০ টাকা মূল্যমানের ২ টি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জাল স্বাক্ষর করে ও ভুয়া বিবাহের হলফনামা তৈরি করে। আর এভাবেই পর্যায়ক্রমে একাধিকবার নানা প্রলোভনে ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে প্রতারণার বিষয়টি তার বাবা মা জানলে তাকে বাসায় আসতে বলায় সে নানাভাবে প্রতারণার চেষ্টা করে।
তাদের মামলার হুমকি দেয়। এই কাজে অভিজিতের বন্ধু সত্যজিত সহযোগিতা করে।
এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, অভিজিত নামে পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেটি এই তরুণীকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে সম্পর্ক তৈরি করে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
পরে মেয়েটি থানায় এসে মামলা করলে ফিরিঙ্গিবাজারের একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। আসামি অভিজিত সেখানে তার মাসির বাসায় থাকতো। এই ঘটনায় আরেক আসামি এখনো পলাতক আছে।