গাজীপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর পালিয়ে বিয়ে, ২৫ দিনেই লাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২১ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
গাজীপুরের টঙ্গীতে পালিয়ে সংসার জীবন শুরুর ২৫ দিনের মাথায় ষষ্ঠ শ্রেণীর স্কুলছাত্রীর লাশ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রীর নাম সুমাইয়া আক্তার (১৩)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে লাশ উদ্ধারের পর রাতে সুমাইয়ার ‘স্বামী’ ওয়াকর্কশপ শ্রমিক ইয়াসিন আরাফাতকে (১৭) গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ।
ইয়াসিন আরাফাত ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউরা উপজেলার বল্লবপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। জানা গেছে, স্কুলছাত্রী সুমাইয়াকে বাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে চলতি মাসের শুরুতে সংসার জীবন শুরু করেছিল ইয়াসিন।
সুমাইয়ার বাবা লাল মিয়া জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার নারায়নদহ গ্রামে। গাজীপুর মহানগরের ডেগের চালা এলাকায় তিনি পরিবার নিয়ে বাস করেন। জমি বর্গায় কৃষিকাজ ছাড়াও দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন তিনি। টঙ্গীর একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তো তার ছোট মেয়ে সুমাইয়া। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে পাশের একটি ওয়ার্কশপের কর্মচারী ইয়াসিন সুমাইয়াকে উত্ত্যক্ত করতো।
এরপর ইয়াসিন ২৫ দিন আগে সুমাইয়াকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে উধাও হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ইয়াসিন ফোনে জানায়, সুমাইয়াকে টঙ্গীর গুশুলিয়া হাসপাতালে আনা হয়েছে, তার অবস্থা ভালো নয়। পরে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের ফোন পেয়ে তারা সুমাইয়ার লাশ দেখতে যান বাবা লাল মিয়া।
নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী গাজীপুর মেট্রোপলিশন পুলিশ- জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই উত্তম কুমার সূত্রধর জানান, নিহত সুমাইয়ার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। গুশুলিয়া হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ইয়াসিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সুমাইয়ার মৃত্যুর সুস্পষ্ট কোনো কারণ স্বীকার করছে না ইয়াসিন। এ ঘটনায় নিহত সুমাইয়ার বাবা লাল মিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, গত ১ এপ্রিল টঙ্গী পশ্চিম থানার মুদাফার সালাউদ্দিনের টিনশেড বাড়ির একটি রুম ভাড়া নিয়ে তারা অপরিণত বয়সে সংসার জীবন শুরু করে। ইয়াসিন মুদাফার ফয়সল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কাজ নেয়। ওই ওয়ার্কশপের মালিকই তাদেরকে বাসা ভাড়া নিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।