নারায়ণগঞ্জে হরতালে নাশকতায় র্যাব-পুলিশের ৬ মামলা দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৬ পিএম, ৩০ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:১৩ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জে রবিবার হেফাজতের সকাল-সন্ধ্যা হরতালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে নাশকতার ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৯ মার্চ) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচটি এবং র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। প্রত্যেক মামলায় ২৫/৩০ জন এজাহারনামীয় আসামি এবং অজ্ঞাত আরও ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান। তিনি জানান, গত রাতে মামলাগুলো রুজু করা হয়েছে। র্যাব ও পুলিশের পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে নাশকতার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে। অপর একটি মামলা সরকারি কাজে বাধা দিয়ে পুলিশের উপর হামলা ও আহত করার অভিযোগে করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে র্যাব-পুলিশের কয়েকটি টিম নাশকতাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
রোববার হেফাজতের ডাকা হরতালে স্বাভাবিক ছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা ও উপজেলা শহরগুলো। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ছিল হরতাল সমর্থকদের দখলে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহসড়কে প্রায় ১৮টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়। নির্বিচারে চলে ভাংচুর। দফায় দফায় বিজিবি-পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুলি বৃদ্ধ, সাংবাদিক ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। পুরো সময় জুড়ে সাংবাদিক উপর চড়াও ছিল পিকেটাররা। তারা অন্তত ১২ জন সাংবাদিককে মারধর ও দুটি মিডিয়ার গাড়ি ভাংচুর করেছে। মহাসড়কটি ভোর থেকে সন্ধ্যা পেরিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিল হরতাল সমর্থকদের দখলে।
পুলিশের তথ্যমতে, এই সমযয়ের মধ্যে ১৮টি ট্রাক, বাস, কাভার্ডভ্যানে আগুন, নির্বিচারে যানবাহনে ভাংচুর, সাংবাদিকদের মারধর করেছে হেফাজতের পিকেটাররা। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৪০০০ রাউন্ড গুলি (রাবার, সিসা, চাইনিজ রাইফেল) ছুড়েছে পুলিশ। প্রায় একশ থেকে দেড়’শ কাঁদানে গ্যাসের শেলও নিক্ষেপ করা হয়।