নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গৃহবধু ধর্ষণের শিকার

স্বামীর জন্য রাতের খাবার কিনে বাসায় ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হলেন এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ সহদ উপজেলার ফতুল্লা থানার ইসদাইর অক্টো অফিস এলাকায়।

এ ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ইসদাইর অক্টো অফিস মোড়স্থ মোটর বাইক দোকানের সাদেক (৩৫) ও ধর্ষণের ঘটনায় সহেযোগিতা করার অভিযোগে ইসদাইর অক্টো অফিস এলাকার নারায়ন বাবুর পুত্র ভুলু (৩৩) ও সামছুল হকের পুত্র আলী (৩৪) সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে গতকাল শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাতে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।

বাদীর লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে জানা যায়, ইসদাইর অক্টো অফিস মসজিদ সংলগ্ন বাদীর স্বামীর একটি চায়ের দোকান রয়েছে। যা বাদী ও তার স্বামী পরিচালনা করে থাকে। 

পাশাপাশি অক্টো অফিস প্রধান সড়কের পার্শ্বে বিবাদী সাদেকের রয়েছে একটি মোটর বাইক মেরামত করার দোকান। সেই সুবাদে সাদেক তার পূর্ব পরিচিত এবং তাকে ভাবী বলে ডাকে।

পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে বিবাদী সাদেক একাধিক বার তাকে তার সাথে রাত্রি যাপনের প্রস্তাব দিলে সে তা প্রত্যাখান করে। 

গত ২৬ মার্চ তারিখ রাত ১১ টার দিকে সে অক্টো অফিস্থ তাদের চায়ের দোকান বন্ধ করে বাসায় থাকা তার স্বামীর জন্য মাসদাইর থেকে রাতের খাবার (বিরিয়ানী) কিনে পায়ে হেটে বাসায় যাবার পথে সাদেকের দোকানের সামনে পৌছা মাত্র উক্ত বিবাদীরা তার হাত ধরে টেনে দোকানের ভিতর নিয়ে যায়।

এক পর্যায়ে তাকে জোর করে দোকানের পিছনের কক্ষে থাকা চকিতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ভুলু ও আলীর সহোযিগতায় মোটর মেকানিক সাদেক তার মুখ চেপে ধরে তার ইচ্ছার বিরুদ্বে জোড় পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। 

পরে তাকে বিবাদীরা হুমকী প্রদান করে যে এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তার মেয়ের ও ক্ষতি করা হবে।

এ ব্যাপরে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় সরকার জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। 

আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ কে আজ (২৭ মার্চ) মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।