আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত-৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৬ এএম, ৩ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৮ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
পটুয়াখালী- কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীর শাখারিয়া বাসস্ট্যান্টে দুই গাড়ীর রেষারেষিতে প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বা নারী রেহেনা বেগমের (৩৫)। তার সাথে থাকা দুই শিশুসহ তিন জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কালীবাড়ী গ্রামের রাজমিস্ত্রি আফজাল হোসেন বেপারীর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা রেহেনা বেগম তার শিশু কন্যা রিয়ামনিকে (৪) নিয়ে চাচী শাশুড়ি পিয়ারা বেগমের সাথে পটুয়াখালীর ফুলতলা গ্রামে নানা শ্বশুর ওয়াজেদ মৃধার বাড়ীতে বেড়াতে রওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে বাড়ীর সামনে থেকে মেহেলী ক্ল্যালিক গাড়ীতে (ঢাকা মেট্রো ব- ১১-০১০৮) ওঠেন। ওই গাড়ীটি পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের শাখারিয়া নামক স্ট্যান্ডে যাত্রী উঠানো ও নামানোর জন্য অবস্থান করছিল। এ সময় গলাচিপা থেকে আসা নিশাত পরিবহন নামের একটি বাস দেখে মেহেলী ক্যাসিক গাড়ীটি স্ট্যান্ড ত্যাগ করে। কিন্তু নিশাত পরিবহন গাড়ীটি মেহেলী গাড়ীর সামনে উঠতে চেষ্টা করে। এ সময় নিশাত পরিবহন গাড়ীটি দ্রুত গতিতে মেহেলী ক্ল্যাসিক গাড়ীকে ধাক্কা দেয়। এতে মেহেলী গাড়ীর ইঞ্জিন বক্সে বসে থাকা যাত্রী রেহেনা বেগম, তার শিশু কন্যা রিয়ামনি, চাচী শ্বাশুড়ী পিয়ারা বেগম (৬০) ও নাতনি খাদিজা আক্তার (৫) গাড়ী থেকে সড়কে ছিটকে পড়ে যায়।
পরে গাড়ীর চাকায় রেহেনা বেগম ও তার কোলে থাকা শিশু কন্যা পিষ্ট হয় এবং পিয়ারা বেগম ও তার নাতনি খাদিজা গুরুতর আহত হয়। ঘটনাস্থলেই চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা রেহেনা বেগম নিহত হয়। গুরুতর আহত রিয়ামনি, খাদিজা ও পিয়ারা বেগমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘাতক মেহেলী ক্ল্যাসিক পরিবহনকে আটক এবং নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পরপরই চালক ও হেল্পার পালিয়ে গেছে এবং অপর নিশাত পরিবহন গাড়ীটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
নিহতের দেবর মোঃ জাফর বেপারী বলেন, গাড়ীর চাকায় পিষ্ট হয়ে ভাবী রেহেনা বেগম নিহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শিশু কন্যা রিয়ামনি, খাদিজা ও পিয়ারা বেগম গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছি এবং ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। পরিবার থেকে কোন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।