মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপির শ্রদ্ধা
জনগণ জেগে উঠে কর্তৃত্ববাদী সরকার সরিয়ে গণতান্ত্রিক পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা করবে - মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৬ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩৬ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিজয়ের ৫০ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এখনো পর্যন্ত পাইনি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আশা করছি জনগণ আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে উঠবেন এবং দানবীয় স্বৈরাচারী কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার, জনগণের পার্লামেন্ট এবং একটা মুক্ত রাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই দিন আমাদের জাতির মেধাবী বুদ্ধিজীবী চিকিৎসক-শিক্ষক- সাংবাদিক-প্রকৌশলীসহ অসংখ্য মেধাবী বুদ্ধিজীবীকে পাক হানাদার বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধকালীন সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে। জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে তারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, আমরা ৫০ বছর পূরণ করতে চলেছি এই বছরে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু করেছিলাম এবং আমাদের অগণিত শহীদ প্রাণ দিয়েছে, আমাদের বুদ্ধিজীবী মহল প্রাণ দিয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে সেই মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক একটা রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত পাইনি। শুধু তাই নয়, আমাদের জনগণের যে আশা-আকাক্সক্ষা ছিল, মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা ছিল সবকিছুকে ভূলুণ্ঠিত করে দিয়ে এখন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বিভিন্নভাবে এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা অসংখ্য মানুষকে খুন করেছে, গুম করেছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা আজকে এদেশের স্বাধীনতার সময় যিনি বন্দি ছিলেন প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এবং সেই সময় তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকো বন্দি ছিলেন ১৯৭১ সালে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কয়েক বছর ধরে মিথ্যা সাজানো মামলায় তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছে। এখন এই মুহূর্তে তিনি অসুস্থ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছেন। আমরা বারবার বলেছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য। কিন্তু এই গণবিরোধী সরকার, স্বাধীনতাবিরোধী সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধু নয় কাউকেই তারা এখানে রাজনীতি করতে দিতে চান না। এদেশে তারা বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একদিকে যেমন তারা বন্দি করে রেখেছেন চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছেন না অন্যদিকে সমস্ত দেশপ্রেমিক মানুষের ওপর তারা অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। এবং আমরা আশা করছি জনগণ আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে উঠবেন এবং দানবীয় স্বৈরাচারী কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার, জনগণের পার্লামেন্ট এবং একটা মুক্ত রাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন।
এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, যুব বিষযক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, আনু মোহাম্মাদ শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরাজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শহিদুল ইসলাম, সর্দার নুরুজ্জামান, সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি আলহাজ¦ খলিলুর রহমান (ভিপি ইব্রাহীম), যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী টি এস আইয়ুব, হাজী সাখাওয়াত হোসেন নান্নু, সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গির আলম, হাজী মোঃ মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগর, জাসাসের আহবায়ক হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, সদস্য এবিএম রাজ্জাক, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদুল মিরাজ, দারুসসালাম থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এ সিদ্দিক সাজু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদ খান, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য হুমায়ন কবির রওশন, মিরপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, দারুসসালাম থানা বিএনপির মোঃ আরিফ মৃধা, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইদুল ইসলাম সাইদুল, বিএনপি নেতা মোঃ বাবুল মিয়া, মোঃ মিজানুর রহমান মিজান (ছোট মিজান), মোঃ মোস্তফা বেপারি, গাজী জহিরুল ইসলাম সবুজ, মোহাম্মদ আইয়ুব, আবুল হাসান টিটু, আশরাফুল হোসেন মামুন, আমিনুর রহমান শান্ত, তরিকুল ইসলাম রানা, আবু রাসেল চৌধুরী মিঠু, মোমিনুল ইসলাম মমিন, মনিরুল ইসলাম মনির, সোলায়মান দেওয়ান, আনোয়ার সাদাত খান রনি, শাহজালাল সম্রাট, মেহেদী হাসান রুবেল, মাসুদুর রহমান মাসুদ, আব্দুল্লাহ পাটোয়ারী, মোঃ ইকবাল মাহমুদ রিপন, মোঃ কাউসার হামিদ, মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ, মোঃ রুস্তম আলী, মোঃ মিজানুর রহমান মিজান, শাকিল আহম্মেদ স্বপন, কে,এম, ইয়াহিয়া সামী, মোঃ মাহবুবুর রহমান, রবিন আহমেদ, মোঃ জগু, সোহেল খান, মোশাররফ হোসেন রতন, মোঃ ইকবাল হোসেন স্বপন, মোঃ বশির আহম্মেদ, আবু বক্কর সিদ্দীক মাকসুদ, হাজী রমজান হোসেন রঞ্জু, মোঃ রাজিব আহমেদ, মোঃ সোহেল রহমান, আহসানুল হক আপেল, মোঃ কামরুল ইসলাম শ্যামল, ফয়সাল আহম্মেদ, আবুল রাহিদ রাহাদ, মোঃ আবুল বাশার ভূঁইয়া, ফয়েজ আহম্মেদ, নওশাদ হোসেন, শহীদুর রহমান এনা, শাহরিয়ার শিপু, জয়নাল হোসেন, মোখলেছুর রহমান, প্রদীপ, সুমন, সোহাগ, রুবেল, রায়হান, সজীব, আকিব আসিফ অভি, মাজহারুল ইসলাম রানা, রুমন আহম্মেদ, মেহেদী, মন্টি, কাউসার, অনিক, রাজীবসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।