গ্রেপ্তার এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০৫ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডে হতাহতের ঘটনায় লঞ্চ মালিক হামজালাল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
আজ সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নৌ আদালতে করা মামলায় লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জয়নাব বেগম।
গতকাল দুপুরে নৌপরিবহন অধিদপ্তরে অবস্থিত নৌ আদালতে মামলা করেন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান।
মামলার আসামিরা হলেন, লঞ্চটির স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক হামজালাল শেখ, শামিম আহম্মেদ, রাসেল আাহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।
দুর্ঘটনার মামলা হওয়ায় আইন অনুযায়ী আজই অভিযান-১০ লঞ্চের ফিটনেস সনদ, নিবন্ধন ও মাস্টার-চালকদের সনদ স্থগিত করা হয়েছে। আসামিদের নামে অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল অধ্যাদেশ, ১৯৭৬–এর ৫৬, ৬৬, ৬৯ ও ৭০ ধারায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র না থাকা, জীবন রক্ষাকারী পর্যাপ্ত বয়া ও বালুর বাক্স না থাকা, ইঞ্জিনরুমের বাইরে অননুমোদিতভাবে ডিজেলবোঝাই অনেক ড্রাম রাখা এবং রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার রাখার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে গত শুক্রববার ভোররাতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।।