আওয়ামীলীগ নেতা সমীরণ সাধুর বিরুদ্ধে চিংড়ি ঘের জবর দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২০ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৩২ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধুর বিরুদ্ধে চিংড়ি ঘের জবর দখল ও ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার হিতামপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ মোড়লের ছেলে মাকছুদুর রহমান মুকুল।
গতকাল রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি পাইকগাছা প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হিতামপুর মৌজার এসএ ৩৭৮ খতিয়ানের ১৭৭ দাগ সহ বিভিন্ন দাগে ক্রয় ও ডিডমুলে ১২ বিঘা জমিতে ৬ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্য লিজ ঘের করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু একই এলাকার সমীরণ সাধুর ইট-ভাটার পাশে আমার লিজ নেওয়া মৎস্য ঘেরটি হওয়ায় ঘেরের ওপর দৃষ্টি পড়ে সমীরণ সাধুর।
গত আগস্ট মাসে ঘের দখল করার মানসে পিতা সহ আমাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ১৬ আগস্ট থানায় একটি জিডি করা হয়। যার নং- ৯৪০। জিডি করার কারণে সমীরণ সাধু আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিতে থাকে। যার ফলে ২২ আগস্ট ২০২১ পাইকগাছা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সমীরণ সাধুকে ১নং বিবাদী করে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দেওয়ানী মামলা করি। যার নং ২৫৮/২১। এতেও ক্ষিপ্ত হলে আমার পিতা জান মালের নিরাপত্ত চেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করেন।
যে কোন মুহূর্তে আমাদের মৎস্য লিজ ঘেরটি দখল করে নিতে পারে এমন আশংকায় আমি ও আমার পরিবার উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যেই ছিলাম। এর মধ্যেই গত ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে সমীরণ সাধুর নেতৃত্বে তার ভাই বিষ্ণু সাধু, কৃষ্ণ সাধু, বিশ্বজিত সাধু সহ ২৫/৩০ জন লোক মৎস্য লিজ ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে এবং নেট-পাটা কেটে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ওই দিন থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন মাকছুদুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন মুকুল ও তার পরিবার।