খুলনায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলায় চার্জ গঠন ১০ অক্টোবর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৫ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৭ পিএম, ৩১ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
খুলনায় বিস্ফোরক মামলায় হেফাজতে ইসলাম নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ অক্টোবর চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেছে আদালত।
আজ রবিবার বেলা ১১ টার দিকে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক এসএম আশিকুর রহমান চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেন। এর আগে সকালে খুলনা জেলা কারাগার থেকে মামুনুল হককে আদালতে আনা হয়।
খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট কে এম ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে গণজাগরণ মঞ্চ খুলনায় হেফাজত ইসলাম ও মৌলবাদী ইসলামী সংগঠনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। সেখানে মামুনুল হকসহ তার হাজার হাজার সমর্থক বিনা উস্কানিতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। যে কারণে রোববার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামুনুল হককে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলেছি, এই মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট এবং দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক। আসামি আদালতে হাজির হওয়ার পর বিজ্ঞ আদালত বলেন, তাকে শ্যোন এ্যারেস্ট করা হলো এবং আগামী ১০ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করা হলো।
আদালতে দাখিলকৃত মামলার চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া চারটার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, গ্রেপ্তারকৃত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি ও সরকার বিরোধী শ্লেগান দিয়ে জামায়েতে ইসলামী, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামীসহ ১২ দলের প্রায় ৩ হাজার মানুষ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর ডাকবাংলা ও ময়লাপোতা মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাচ্ছিল। ফুজি কালার ল্যাবের সামনে পৌঁছালে পুলিশী বাঁধার সম্মুখীন হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা মিছিলের মধ্য থেকে পুলিশের ওপর ককটেল বোমা ও গুলি নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে কিছু পুলিশ আহত হয়। পুলিশ সেখান থেকে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনে। এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানায় খুলনা মহানগর ইমাম পরিষদের কয়েকজন নেতা ও হেফাজত ইসলামীর নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ ২৬ জনের নামে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আলমগীর কবীর বাদী মামলা দায়ের করেন, যার নং ২৩।
চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, উক্ত ঘটনার আগের দিন ময়লাপোতা মসজিদ মোড়ে ওয়াজ করার সময় হাফেজ মামুনুল হকসহ অন্যান্যরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুরসহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুসারীদের নির্দেশ প্রদান করেন।
২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ মোক্তার হোসেন মোট ১০৭ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।