বাগেরহাটে বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাছ পাচারের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২০ পিএম, ২৫ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:১১ এএম, ৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বাগেরহাটের চিতলমারীতে বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধুর বিরুদ্ধে সরকারি গাছ পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় চিতলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল দুই ভ্যান গাছ আটকিয়ে রাখেন। রেঞ্জার চিম্ময় মধু বাগেরহাট জেলার ৯ উপজেলা ও খুলনার ৫ উপজেলাসহ ১৪টি উপজেলার বন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত রয়েছেন। তবে বন কর্মকর্তা পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবী ওই গাছ তিনি ফার্ণিচার বানানোর জন্য ৩ বছর আগে নিলামে বিক্রয় করা গাছ একজনের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। এ ঘটনায় চিতলমারীতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুটি ভ্যানযোগে বড় বড় ৮পিস শিশুকাঠের লক উপজেলা মোড়ে একটি স্মিলে (করাতকল) নেয়া হচ্ছিল। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল উক্ত গাছের সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় ভ্যানের চালক জানান বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধু তাদের গাছ নিয়ে করাতকলে রাখতে বলেছেন। তখন তিনি গাছ গুলো আটক করে রাস্তার পাশে রাখতে বলেন।
নাম প্রকাশ নাকরার শর্তে চিম্ময় মধুর গ্রামের লোকজন বলেন, একজন দ্বিতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা হয়ে কয়েক বছরের মধ্যে কোটি টাকার আলিশান বাড়ি করেছেন। তার বিলাশ বহুল বাড়ি দেখে অনেকের মধ্যে নানান প্রশোনর জন্ম দিচ্ছে।
এছাড়া তিনি বড়বাড়িয়া কাকনচক সড়কের রাস্তার দুই পাশের প্রায় ১৫ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মুল্যমান গাছ নাম মাত্রায় টেন্ডারের মাধ্যমে তার স্যালোকে পায়ে দেন। কিন্তু টেন্ডারের ৩/৪ বছর পার হলেও বাগানের সুফল ভোগীদের এখন পর্যন্ত টাকা পরিশোধ করেননি ওই বন কর্মকর্তা।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল বলেন, কয়েকজন ব্যক্তি ভ্যানযোগে সন্দেহজনক ভাবে উপজেলা পরিষদের মধ্য থেকে ৮ খ- গাছ পার্শবর্তী করাতকলে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার নজরে আসে। বিষয়টি ভ্যান চালকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধুর কথা বলেন। চিন্ময় মধু গাছ গুলো অবৈধ ভাবে পাচার করছিল বলে সন্দেহ হওয়ায় সে গুলো মিলে না নিয়ে রাস্তার পাশে রাখতে বলা হয়।
বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধু পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিন বছর আগে ওই গাছ আমি টেন্ডারের মাধ্যমে একব্যক্তির কাজ থেকে ক্রয় রেখেছেন। ফার্ণিচার তৈরির জন্য গাছ পার্শ্ববর্তি সমিলে নেওয়া হচ্ছিল।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ লিটন আলী বলেন, মঙ্গলবার গাছের বিষয়টি শুনে তিনি বন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে চিন্ময় মধূ টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ ক্রয়ের কথা বললেও সঠিক কাগজ ও প্রমান দেখাতে পারেননি। সঠিক প্রমান দিতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।