লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৪ পিএম, ২৫ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩৮ পিএম, ১ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সংক্রমণ করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার কতৃর্ক ঘোষিত লকডাউন ও স্বাস্যবিধি উপেক্ষা করে হলরুমে শিক্ষার্থীদের একত্র করে ভিড় করতে দেখা গেছ।
গতকাল শনিবার (২৪ জুলাই) কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার স্কুল এন্ড কলেজে এ চিত্র দেখা যায়।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তবে শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জানা যায়, সরকার করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউনের এই সময় সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসএসসি শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ করা হচ্ছে। পতনউষার স্কুল এন্ড কলজে স্বাস্যবিধি উপেক্ষা করে শনিবার সকাল ১১ টায় বিদ্যালয়ের হলরুমে শিক্ষার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। গাদাগাদি করে প্রতিটি বেঞ্চে শিক্ষার্থীদের বসানো হয়।
এ্যাসাইনমেন্ট বিপরীত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নগদ একশ' টাকা হারে আদায় করেন শিক্ষকরা। টাকা নেওয়ার বিষয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ভাইরাল হতে দেখা যায়।
লকডাউন চলাকালে সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে গত ১৫ জুন থেকে ওই স্কুলের হলরুমে একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষাও নেওয়া হয়। এ সময় কমলগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্র কাছে অভিযোগ যাওয়ার পর ১৮ জুন থেকে পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রাখা হয়।
আফরোজ আলী ও তায়াবুর রহমান সহ স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা জানান, বর্তমান এই সময় গ্রামগঞ্জে করোনা মহামারী ব্যাপক আকারে ধারণ করছে। ঘরে ঘরে সর্দি, জ্বর, কাশি রয়েছে। সেইসাথে উপজেলায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে । এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের হলরুমে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গাদাগাদি করা মোটেও সমীচিন নয়।
অভিযোগ বিষয়ে পতনউষার স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফয়েজ আহমদ বলেন, আসলে এ্যাসাইনমেন্ট বিতরণের সময় শনিবার শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভিড় ছিলো। তবে আজ রবিবার থেকে কোন গাদাগাদি নেই। তাছাড়া শিক্ষকরা যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন সব শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুনাহার পারভীন বলেন, এ্যাসাইনমেন্ট বিষয়ে কারো কাছ থেকে ফি নেওয়া যাবে না। অভিযাগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।