ঠাকুরগাঁওয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তার

ঠাকুরগাঁওয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তানভির হাসান তানু নামের এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই সাংবাদিক মামলার খোঁজ-খবর নিতে থানায় আসলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ’

গ্রেপ্তারকৃত তানভির হাসান তানু শহরের হাজীপাড়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে। তিনি ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন, দৈনিক ইত্তেফাক ও জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি। এছাড়া তিনি ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে, গত ৯ জুলাই ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. নাদিরুল আজিজ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(১)(ক) ২৫(১)(খ) ২৯(১)/৩১(১)/৩৫(১) ধারায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় তানভির হাসান তানু, নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি রহিম শুভ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটুকে আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

মামলার বরাত দিয়ে ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫ জুলাই ও ৬ জুলাই ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের খাবার নিয়ে জাগো নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিক তানভির হাসান তানু, রহিম শুভ ও আব্দুল লতিফ লিটু। সংবাদটি “মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, জনরোষ সৃষ্টিকারী, মানহানিকর” দাবি করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। 

গ্রেপ্তারের পর থানা হাজতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত একটার দিকে তানুর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম।

এদিকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটার নিরাপত্তা আইনে মামলা ও সাংবাদিক তানভির হাসান তানুকে গ্রেপ্তার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব, ঠাকুরগাঁও টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ ঠাকুরগাঁওয়ের সর্বস্তরের সাংবাদিক মহল।

সাংবাদিক তানভির হাসান তানুর নিঃশর্ত মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা প্রত্যাহার না করলে কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে জানান সাংবাদিক নেতারা।