ভূরুঙ্গামারীতে ইউনিয়ন পরিষদে তালা, অসহায় প্রশাসন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৭ পিএম, ১০ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৭ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে রেখেছে। তালা ঝুলানোর ৫দিন অতিবাহিত হলেও অসহায় প্রশাসন তালা খোলার উদ্যোগ না নেয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ইউনিয়ন পরিষদে আসা সেবা গ্রহিতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে এলাকায় গণ উপদ্রব সৃষ্টি এবং মামলার কারনে চলতি বছর ১৭ জানুয়ারী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর প্যানেল চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান এব্যাপারে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত চেয়ারম্যানের বরখাস্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে। নিয়ম মোতাবেক হাইকোর্টের এ আদেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পৌঁছালে মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসককে যেরকম নির্দেশনা দিবেন সেই নির্দেশনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাস্তবায়ন করবেন। কিন্ত এধরনের নির্দেশনা আসারে আগেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চেয়ারম্যান তার কিছু ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন ঘেরাও করে ঝাড়ু ও সেন্ডেল মিছিল করে এবং রোববার (৬ জুন) থেকে ৩০/৩৫ জন লোক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কক্ষে তালা লাগিয়ে অবস্থান নেয়। এর আগে চেয়াম্যানের নেতৃত্বে কিছু লোক ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্র থেকে জোড়পূর্বক ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও প্রিন্টার নিয়ে যায়। এব্যাপারে প্যানেল চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান গত ৮ জুন বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানসহ মোট ৩৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন।
প্যানেল চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জানান, পরিষদ তালা দিয়ে তার ভাড়াটিয়া লোকেরা অবস্থান নেওয়ায় ইউপি সচিব ও সদস্যগণ পরিষদে যেতে পারছেননা ফলে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সেবা নিতে আসা জুয়েল হাওলাদার (৩৮) জানান, ইন্সুরেন্সের টাকা জমা দেবার জন্য ব্যাংক এশিয়ায় (তথ্যসেবা কেন্দ্র) ৫দিন থেকে ঘুরছি, ঘর বন্ধ।
বুলবুলি (৩০) ও আইয়ুব আলী (৪০) বলেন, সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের জন্য এসেছি, পরিষদ তালা বন্ধ দেখে ঘুরে যাচ্ছি।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে তালা খুলে দেবার জন্য বলেছি। পুলিশী সহযোতিা লাগলে আমরা দিতে চেয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, তালা খোলার ব্যাপারে প্যানেল চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।