সিরাজগঞ্জে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জেলেকে মারপিটের অভিযোগ

মাছের টাকা চাওয়ায় জেলেকে মারপিট করে জোরপূর্বক মাছ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হকসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এটাকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিলেন যুবলীগ নেতা একরাম।

গতকাল বুধবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী জেলে সয়দাবাদ ইউনিয়নের ফুলবাড়ীর চর গ্রামে আমজাদ শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশিক ইমরানসহ অজ্ঞাত ৪৫/৫০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় অভিযোগ করেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে যমুনা নদীর ফুলবাড়ি চর এলাকায় বেড়জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন শফিকুল। এ সময় যমুনার চরে বনভোজনে আসা যুবলীগ নেতা একরামসহ ৪৫/৫০ জন নেতাকর্মী তার কাছে মাছ কিনতে যান। ৬/৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০/১২ কেজি মাছ ডালিসহ তারা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। 

এ সময় তাদের কাছে মাছের টাকা চাইলে তারা জেলে শফিকুলকে লাথি ও কিল-ঘুষি মারে এবং মাত্র ৩ হাজার টাকা মাটিতে ফেলে দিয়ে চলে যায়। এ সময় তারা দলীয় পরিচয় দেন এবং মাছের দাম নেওয়ার সাধ মিটাইয়া দেবেন বলে হুমকি দেন।

এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মাছ কেনা নিয়ে মারধোরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে থানায় অভিযোগের বিষয়টি ওসি সাহেবের মাধ্যমে অবগত হয়েছি।’

ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’