বাগেরহাটে আ'লীগ নেতার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৬ পিএম, ১৯ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:২০ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বাগেরহাটের শরণখোলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজান ফরাজীকে (৪৫) লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। অপর দিকে একই উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর বকুলতলা ওয়ার্ডে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন তিন নারীসহ পাঁচজন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় পৃথক হামলায় এ আহতের ঘটনা ঘটে। আহত মিজান ফরাজী খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ৪ নম্বর পূর্ব খোন্তাকাটা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দু’জনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) পাঠানো হয়েছে। অন্য চারজনকে ভর্তি করা হয়েছে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
আহত মিজান ফরাজীর বড় ভাই আলমগীর ফরাজী জানান, তার ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্যপ্রার্থী জাকির গাজীর কর্মী। এ কারণে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বর্তমান মেম্বর নাসির শরীফের কর্মী রাব্বি খানের নেতৃত্বে ১০-১২ সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার ভাই মিজানের ওপর হামলা করে দুই হাত ও বাম পা ভেঙে দিয়েছে। আশঙ্কাজন অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে প্রতিপক্ষের নাসির মেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। মারামারির বিষয়ে আমার জানা নেই।
অপর দিকে সাউথখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর বকুলতলা ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর মো: দেলোয়ার হোসেন খলিল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তিন নারীসহ পাঁচজন আহত হন। তারা হলেন খাদিজা বেগম (৪৫), আলাল ফরাজী (২৫), শাহিনুর বেগম (৪২), স্কুলছাত্রী মারুফা আক্তার (১৪) ও স্কুলছাত্র মো: বাবু (১৫)। তাদের মধ্যে খাদিজা বেগমকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বকুলতলা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন খলিল অভিযোগ করেন, আহতরা আমার কর্মী-সমর্থক। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদ খানের কর্মী সেকেন্দার ফরাজীর ছেলে প্রকৃতির শামীম ফরাজীর নেতৃত্বে ৮-১০ লোক এ হামলা চালায়।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম খান বলেন, জমিজমার বিরোধের জেরে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এটা তাদের পারিবাকি বিষয়। হামলাকারীরা কেউই আমার নির্বাচনী কর্মী-সমর্থক নয়।
বুধবার শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সাইদুর রহমান জানান, দু’টি সংঘর্ষস্থলেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকে শরণখোলার সাউথখালী, রায়েন্দা ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মেম্বরপ্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কমপক্ষে ১০টি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষের শতাধিক লোক আহত হন। মামলাও হয়েছে একাধিক।