ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে মোট ২৮ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৯ এএম, ৩০ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৫১ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে রাজধানীর চকবাজার থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদকের চার মামলায় সাত দিন করে মোট ২৮ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, চকবাজার থানার পরিদর্শক অপারেশন মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন মামলাগুলোয় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোসহ এ রিমান্ড আবেদন করেছেন। এ আবেদনের ওপর আগামী ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ দিদার হোসাইন আসামিদের উপস্থিতিতে অস্ত্র মামলায় এবং মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমান চৌধুরীর আদালতে মাদক মামলায় শুনানির দিন ঠিক করেছেন।
গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন। ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব।
এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। এরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন। এরপর গতকাল বুধবার র্যাব-৩-এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন।