এরফান সেলিমের বাসা থেকে অস্ত্র, অবৈধভাবে মজুত রাখা বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৭ এএম, ২৭ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০৯:৩১ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
এমপি হাজী সেলিমের ছেলে, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের বাসা থেকে অস্ত্র, অবৈধভাবে মজুত রাখা বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করেছে র্যাব। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, এরফান সেলিমের বাসার শয়নকক্ষ থেকে ৩৫টি ওয়াকিটকি, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও একটি গুলিভর্তি শটগান ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়।
রোববার রাতে এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সংসদ সদস্য লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও আজ ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে সাময়িকভাবে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
তিনি বলেন, কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
‘গতকালের ঘটনা নয়, মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। ভেতরে র্যাবের অভিযকনিক দল কাজ করছেন। এই বাড়িটি র্যাব ঘিরে রেখেছে। এখানে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট, র্যাব-৩ ও ১০ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা রয়েছেন। ’
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের এখনও গ্রেফতার দেখানো হয়নি। সাধারণত কোনো বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে রাখতে হয়। সে কারণে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটও উপস্থিত রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট র্যাবের অভিযানে সহযোগিতা করেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে র্যাবের একটি দল হাজী সেলিমের ছেলেকে গ্রেফতার করতে তার বাসা চাঁন সরদার দাদার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে।
এর আগে সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই গাড়িচালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।