নাইকো মামলা ৪ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৩ এএম, ২৬ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৪৪ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কানাডিয়ান বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি নাইকো মামলার অভিযোগ গঠন করা হবে কিনা, এ বিষয়ের তৃতীয় দিনের মতো শুনানি শেষ হয়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। এদিন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার ও জয়নাল আবেদীন মেজবাহ তার পক্ষে হাজিরা দেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত শুনানি শেষে মুলতবির আদেশ দেন কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত। শুনানিতে এ মামলার অন্যতম আসামি সদ্য মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যু প্রতিবেদন দাখিল করেন গুলশান থানা পুলিশ। এর আগে গত ১৮ মার্চ এ মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য থাকলেও মওদুদ আহমদ মৃত্যুবরণ করায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের করা সময় আবেদন মঞ্জুর করে ২৫ মার্চ পরবর্তী দিন ঠিক করেন আদালত।
গত ২ মার্চ অভিযোগ গঠন বিষয়ে প্রথম দিনের এক ঘণ্টার শুনানি হয়। ১৮ মার্চ মওদুদের মৃত্যুর কারণে আংশিক শুনানি হয়। প্রায় দেড় মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান খালেদা জিয়া সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ (৮১)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় বেগম খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ৫ মে বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।