জবি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৪:০৯ এএম, ১৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবি সহ ৫দফা ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে অবস্থান নিয়েছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) শিক্ষা ভবনের সামনের মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দাবির স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করে। কিন্তু শিক্ষা সচিব দেখা না করায় সচিবালয় ঘেরাও করেছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। বর্তমানে তাদের ঘেরাও চলছে।
১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন- আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান, সংগঠক একেএম রাকিব, রাইসুল ইসলাম নয়ন, আসাদুল ইসলাম, আবু বকর খান, নওশীন নাওয়ার জয়া, সোহান প্রামাণিক, মাসুদ রানা, নূর নবী, ওমর ফারুক, ফেরদৌস শেখ, অপু মুন্সী।
শিক্ষার্থীদের ৩ দাবি হলো : স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টর কে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা সহ ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে;অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে;বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ (পাঁচশত) কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা না করায় শিক্ষা সচিবের ক্ষমা বা না চাইলে পদত্যাগের স্লোহান দিতে দেখা যায়। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টাকে আন্দোলনে হাজির হতে আবহান করা হয়েছে।
আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, আমরা স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে প্রবেশ করেছিলাম। কিন্তু সচিব নিজে দেখা না করে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে। আমরা এটা মানি না। এখন আমাদের দাবি শিক্ষা উপদেষ্টা এসে আমাদের দাবি শুনতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সচিবালয়ের সামনে উপদেষ্টা নাহিদ : এদিকে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ের সামনে এসেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। বিকেল ৩টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন তিনি।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘এক দুই তিন চার, ক্যাম্পাস আমার অধিকার’, ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও করো, মন্ত্রণালয় ঘেরাও করো’, ‘বৈষম্য মানব না, মানি না মানব না’, ‘দিতে হবে দিয়ে দাও, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে দাও’, ‘যদি থাকে হায়া লাজ, সেনাবাহিনীকে দাও কাজ’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আন্দোলনের সংগঠক এ কে এম রাকিব বলেন, আমরা আজ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেব। পাশাপাশি তিন কার্যদিবসের সময় দেবো। যদি এরমধ্যে এসব সমস্যার সমাধান না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
দিনকাল/এসএস