২৪ ঘণ্টা পার হলেও ডা. সাবিরা হত্যায় মামলা হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৬ এএম, ২ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:০৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
রাজধানীর কলাবাগানের ফার্স্ট লেনের ৫০/১ ভাড়া বাসা থেকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপির (৪৭) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলা হয়নি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কলাবাগান থানা পুলিশ বলছে, মামলার সব প্রক্রিয়া শেষ হলেও নিহতের পরিবারের কেউ এখনো মামলা করতে আসেননি।
নিউ মার্কেট-কলাবাগান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, নিহতের পরিবার বাদী হয়ে মামলা করবে। তবে এখন পর্যন্ত পরিবারের কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি। এ ঘটনায় দুপুর সোয়া ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপি হত্যার শিকার হয়েছেন ধরেই তদন্ত করছে রমনা বিভাগ পুলিশ ও রমনা গোয়েন্দা পুলিশ। নিহতের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্য থেকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ছয়-সাত জনকে হেফাজতে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (৩১ মে) কলাবাগানের ভাড়া বাসা থেকে ডা. সাবিরার লাশ উদ্ধার করা হয়
প্রথমে আগুনের খবরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাসায় ধোঁয়া দেখতে পান। পরে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার হয়। নিহত চিকিৎসকের শরীরের কিছু অংশ দগ্ধ ছিল বলে জানান তারা। লাশ উদ্ধারের পর পিঠে দুটি ও গলায় একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ। খবর পেয়ে সোমবার ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট। তারা লাশ থেকে আলামত সংগ্রহ করে।
ক্রাইম সিন ইউনিট জানায়, সাবিরাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা (ব্রুটালি কিলড) করা হয়েছে। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের পর বিছানায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। দাহ্য পদার্থ না থাকায় আগুন তেমন ছড়ায়নি। তবে সাবিরার শরীরের কিছু অংশ এতে দগ্ধ হয়।
সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক শেখ রাসেল কবির বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাবিরার শ্বাসনালী কেটে ফেলা হয়েছে তার দেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও পোড়ার ক্ষত আছে। আমরা আপাতত নিশ্চিত হয়েছি- এটি হত্যাকান্ড। আলামত দেখে মনে হয়েছে, মধ্যরাতে কোনো এক সময় হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে।