১ মাসে হামলার শিকার ৬ সাংবাদিক : মামলা হয়েছে ২৯ জনের বিরুদ্ধে

চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন ছয়জন পেশাদার সাংবাদিক। একই সময় মামলা দায়ের হয়েছে ২৯ জনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও মানহানির মামলা হয়েছে ৭টি।

এদিকে মামলা দায়ের হওয়া ২৯ জনের মধ্যে গণমাধ্যম মালিক, সম্পাদক ও বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক রয়েছেন। এছাড়া হেনস্তা ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন আরো চারজন সংবাদকর্মী। তবে আগের মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেফতারের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।

এর আগে জুলাই মাসে ডিজিটাল আইনে গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক এবং তারও আগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাবন্দি সিনিয়র সাংবাদিক গত মাসে মুক্তি পেয়েছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিধিনিষেধের মুখে পড়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিক ও মানিকগঞ্জে সরকারি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সংবাদকর্মীরা।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মনিটরিং সেল থেকে প্রধান প্রধান সংবাদপত্রসহ শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত  বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠানো হয়েছে। 

বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকনের তত্ত্বাবধানে এ মনিটরিং সেল কাজ করছে। মনিটরিং কমিটিতে রয়েছেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি রাশিদুল ইসলাম (আহ্বায়ক), সহকারী মহাসচিব মো. সহিদ উল্লাহ মিয়াজী (যুগ্ম আহ্বায়ক) ও প্রচার সম্পাদক মাহমুদ হাসান (সদস্য সচিব)।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আগস্ট মাসে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো ঘটেছে ঢাকা, কুমিল্লা, নরসিংদী, টাঙ্গাইল ও চুয়াডাঙ্গায়। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিক সোহেল রানা ডালিম, কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সাংবাদিক ইকবাল হোসেন সুমন ও নরসিংদীর মনোহরদীতে সুমন রায় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, কুমিল্লার ঘটনায় ৪ হামলাকারী গ্রেফতার হলেও অন্য ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে আগস্ট মাসে মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়ার এমডি সায়েম সোবহান আনভির, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, যমুনা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান প্রতিবেদক রয়েছেন।

উল্লেখ্য, এর আগের মাসে দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়েছিলেন ছয়জন সাংবাদিক। ডিজিটাল আইনে ১০ জনসহ বিভিন্ন মামলায় ওই মাসে আসামি হয়েছিলেন ১১ জন সাংবাদিক। এছাড়া হামলা, হেনস্তা ও হুমকির সম্মুখীন হন আরো সাতজন সংবাদকর্মী।