অভিনব পদ্ধতিতে ফাঁদ পেতে পাখি শিকারের মহোৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ৩০ অক্টোবর,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ০৯:৪২ পিএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
রংপুরের পীরগঞ্জে পাখি শিকারীরা নুতন পদ্ধতিতে পাখি শিকার পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছে। আর এক্ষেত্রে ব্যবহ্রত হচ্ছে কলা , বেতপাতা ও বাঁশের বাতি। প্রতিনিয়িত নিধন হচ্ছে বক প্রজাতির পাখি। এ প্রক্রিয়ায় পাখি নিধনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন মহল। তারা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
উপজেলার টুকুরিয়া বাজার সংলগ্ন এক পাখি শিকারী আমিনুল ইসলাম। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে ঘুম থেকে জেগে ছুটে যান নদী কিংবা বিল এলাকায়। যেখানে বেত ও কলা পাতা এবং বাঁশের বাতি দিয়ে তৈরী করে রাখা হয়েছে বিশেষ ঘর। যেটির অব্যন্তরে লুকিয়ে থাকেন শিকারি। শিকারিদের হাতে থাকছে শিকারি বক। উক্ত বকের পায়ে সুতা বেঁধে ঘরটির উপরি ভাগে রেখে দেন। পরে ঘরটির অভ্যন্তরে থাকা শিকারী বকের পায়ের সুতা ধরে টান দিলে বকটি লাফালাফি করে। আর আশপাশে অবস্থানরত বক ঘরটির উপরি অংশে রাখা বকটির সংস্পর্শে এলে শিকারী ঘরের অভ্যন্তর থেকে হাত দিয়ে নুতন আগত বক ধরে ফেলছে। আর এ ভাবেই চলছে বক নিধন। পীরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় এ পদ্ধতিতে চলছে বক নিধন।
এ পদ্ধতিতে বক নিধনের ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, এখন খাল বিলের পানি কমে আসছে। খাল বিল এলাকায় আসা বক বক নিধনের প্রক্রিয়ায় মেতে উঠেছে কিছু অসাধু শিকারী। এ কৌশলে বক নিধনের ফলে পাখির প্রজাতির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি দেয়া দরকার।
তারা আরও বলেন, শীত মৌসুমের শুরতেই বাহির থেকে আমাদের দেশে অনেক অতিথি পাখির আগমন ঘটে। অথচ অসাধু লোকজন বিভিন্ন কৌশলে বক সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি নিধন করছে। ফলে আগের মত আর পাখি চোখে পড়েনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২ জন পাখি শিকারির মতে তাদেরকে কেউ পাখি শিকার করতে নিষেধ করেননি। মন চাইলে আমরা মাঝে মধ্যে পাখি শিকার করি। অনেকে প্রতিনিয়ত এ গুলো শিকার করেই জিবিকা নির্বাহ করেন।
অবাধে পাখি শিকারের বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা মিঠু তালুকদারের সাথে কথা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, পাখি শিকারের বিষয়ে আমাদেরকে কেউ অবগত করেননি। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে অসাধু পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দিনকাল/এমএইচআর