নতুন করে হয়রানির শিকার বগুড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৩ এএম, ২ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
রাজপথে বিএনপির সক্রিয়তা দমনে বগুড়ায় নতুন করে শুরু হয়েছে মামলা, অজ্ঞাতনামা আসামির সুযোগ নিয়ে পুলিশের হয়রানি। টার্গেট করে শুরু হয়েছে পুলিশের তল্লাশি ও হয়রানি।
বগুড়া বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভা সমাবেশ পন্ড হয়ে যায় আওয়ামী লীগের পাল্টা সমাবেশের আহ্বান করাকে ঘিরে। পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখায় বিএনপি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তারপরও ছলছুতার সূত্র ধরে নন্দীগ্রাম থানায় ২৬ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় ২৬ নেতাকর্মীর মধ্যে গত রবিবার ২ জন এবং মঙ্গলবার আরও ১৮ জনসহ মোট ২০ জন বিএনপি নেতাকর্মী জামিন নিয়েছে আদালত থেকে। তবে অন্য একটি বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলায় অজ্ঞাত সংখ্যক আসামি থাকার বিষয়টি নন্দীগ্রাম বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীর রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে।
তৃণমূল পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মী মঙ্গলবার দিনকালকে জানান, পুলিশ ও পুলিশের সোর্স গ্রাম, ইউনিয়ন পর্যায়ে, হাটবাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম ধরে খোঁজখবর নিচ্ছে। এতে করে গ্রামে গ্রামে পুলিশি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন জানান, নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সিংড়া তাড়াশ বগুড়া শহর থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। অপরদিকে গত ২ সেপ্টেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক এলাকায় একটি জনসমাবেশ বানচাল করতে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীরা সরাসরি পুলিশের ছত্রছায়ায় শিবগঞ্জ উপজেলাজুড়েই ব্যাপক তান্ডব চালায়। তারপরও ওই সমাবেশে রিজভী আহম্মেদ প্রধান অতিথি ছিলেন বিধায় বিএনপি নেতাকর্মীরা জীবনবাজি রেখে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশটি সম্পন্ন করে। অথচ পরদিনই উল্টো ১৯৯ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে পুলিশের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে মামলা করে। অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম জানান, রাতের বেলা গ্রামে গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তারা গ্রামের মাচাংগুলোকে টার্গেট করে হয়রানির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। একই সময়ে রাজধানী ঢাকায় বগুড়া বিএনপির সিনিয়র নেতা মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর বাসভবনে পুলিশ তল্লাশি চালায়।
কেন এই তল্লাশি ও হয়রানি জানতে চাইলে মোশাররফ হোসেন চৌধুরী বলেন, হঠাৎ করে যেন বগুড়া থেকে আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ দাবানলের মতো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেকারণেই বগুড়াকে টার্গেট করে এই পুলিশি দমন-পীড়ন চলছে। তবে তাতে কোনো লাভ হবে না।