পরীমনিকে বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ২৯ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৩৮ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনিকে তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। প্রথম দফায় চারদিন, এরপর দুইদিন এবং শেষ একদিনের রিমান্ডে ছিলেন পরীমনি। বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে আছেন। এবার পরীমনিকে তিন দফায় রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
আজ রবিবার (২৯ আগস্ট) আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে আবেদনটি দায়ের করেছেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারোয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।
এদিকে চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন আবেদন আগামী বুধবারের (১ সেপ্টেম্বর) মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জজকোর্টকে এ নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি জাহিদ সারোয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ।
পরীমনির আইনজীবীর করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আবেদন করার ২১ দিন পর জামিন আবেদন শুনানির দিন ধার্য করায় বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর পর তার জামিনের আবেদন করেছিলেন আইনজীবী মো.মুজিবুর রহমান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন ধার্য করা হয়েছিল।
বুধবার (২৫ আগস্ট) নিম্ন আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনির আইনজীবী মো. মুজিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন উপস্থাপন করা হয়।
এর আগে তৃতীয় দফার রিমান্ড শেষে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে শনিবার (২১ আগস্ট) আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে অপরাধ গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি) তাকে আদালতে হাজির করে। পরে শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশেক ইমাম এ আদেশ দেন।
শনিবার পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হলেও তার আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিনের আবেদন করেননি। তবে তিনি পরীমনির সঙ্গে কথা বলার জন্য আবেদন করেন। সে আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক কথা বলার অনুমতি দেননি।
বিচারক এজলাস কক্ষ ত্যাগ করার পর পরীমনির কাছে যান তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত। তখন পরীমনি তাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা আমার জামিন চান না কেন? আমি তো পাগল হয়ে যাচ্ছি। আপনারা জামিন চান, আপনারা আমার সঙ্গে কী কথা বলবেন? আমি তো পাগল হয়ে যাব! আপনারা বুঝতেছেন আমার কী কষ্ট হচ্ছে?