ইরফান সেলিমকে হাইকোর্টের জামিন : মুক্তিতে বাধা নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৮ এএম, ১৯ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৪৬ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম আহমদ খানকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নং ওয়ার্ডের বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তার কারামুক্তিতে আর কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ বৃহস্পতিবার তার জামিন বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এদিন আদালতে ইরফান সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। এর আগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রুলের জবাব দিতে সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল।
গেল বছরের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম ও তার স্ত্রী মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা সামলে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়িটির সামনে দাঁড়ান ওয়াসিম। পরে ওই নৌ কর্মকর্তা জানান, তারা (ইরফান সেলিমসহ সঙ্গীয়রা) আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। পরে আমার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডি থানার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর দিন ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। ওই দিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজি সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ইরফান সেলিম। ওই আবেদনের শুনানি নিয়েই উচ্চ আদালত রুল জারি করেন। এরইমধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে করা পৃথক দুই মামলায়ও অব্যাহতি পেয়েছেন ইরফান সেলিম।