বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে হাইকোর্টের রুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৭ এএম, ১ মার্চ,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫১ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ রোবববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। এছাড়া দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, পানামা পেপারসসহ বিভিন্ন পেপারসে নাম আসায় বাংলাদেশিদের সাজার বিষয়টি রিট পিটিশনে সংযোজন করা হয়। সেটি নিয়েও রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।’
গত ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ বিষয়ে আরও শুনানি এবং আদেশ দেয়ার জন্য আজ রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেছিলেন হাই কোর্ট।
জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস এ রিট করেন। রিটে মুসা বিন শমসেরসহ অন্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। আবেদনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদপত্রে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশের ব্যাংকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীদের চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীত এবং বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদনও করা হয় রিট পিটিশনে।