আমদানি পর্যায়েও তেলসহ নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৫ এএম, ১৫ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৪২ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
খুচরা পর্যায়ে তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে আমদানি পর্যায়েও এসব পণ্যের শুল্ক সর্বোচ্চ কমানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআরকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। দাম সহনীয় রাখতে রবিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ভোক্তা পর্যায়ে নিত্যপণ্যের ভ্যাট তুলে দেয়াসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গতকালের বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী এগ্রি করেছেন এবং খুব স্ট্রংলি একটা ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের রিটেইলার (খুচরা) পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী এসআরওতে সই করেছেন বলে জানিয়েছেন। মন্ত্রিসভা বৈঠকে নতুন একটা বিষয় সভায় আলোচনা হলো জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মিটিংয়ে একটা অবজারভেশন দেয়া হলো এবং এনবিআরকে ডিরেক্টিভ দেয়া হয়েছে যে, ইমপোর্ট পর্যায়ে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে সেটা কতটুকু কীভাবে কমানো যায় দেখতে হবে এবং যথাসম্ভব একটু কম পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত। আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে। আমদানি পর্যায়ে যে ভ্যাট আছে সেটা যথাসম্ভব কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য এনবিআরকে বিবেচনা করার জন্য শিগগিরিই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে কমালে আমাদের ধারণা যে, এটার একটা ডিরেক্ট পজিটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শুধু ভোজ্যতেল নয়, চিনি বা যেগুলো বেশি প্রয়োজনীয় সেগুলোর ক্ষেত্রে ভ্যাট কমাতে বলা হয়েছে। যেটা খুবই ক্রাইসিসে থাকবে সেটার ক্ষেত্রে একদম কম পর্যায়ে নিয়ে আসা। সম্ভাব্য লোয়েস্ট একটা সিলিংয়ে যাওয়া। ভ্যাট যথাসম্ভব সহনীয় একেবারে লোয়েস্ট লেভেলে নেয়া যায় কি-না সে বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এনবিআরকে যথা শিগগিরই বিবেচনা করতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। শুল্ক একেবারে তুলে দিলে সমস্যা আছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ার বলেন, পুরোপুরি তুলে নিলে এনবিআর বুঝতে পারবে না কী পরিমাণ মালামাল ঢুকলো।