ডা. সাবরিনার জামিন নয় কেন, হাইকোর্টের রুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৮ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:২০ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
করোনা পরীক্ষার ভুয়া প্রতিবেদন দেয়ার মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিনকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে সাবরিনার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন। এর আগে, করোনার ভুয়া প্রতিবেদন দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের ডা. সাবরিনা শারমিন জামিন আবেদন করেন। সাবরিনা-আরিফুল দম্পতি ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। গত বছরের ২০ আগস্ট নিম্ন আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এর আগে ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। মামলার অভিযোগপত্রে সাবরিনা ও আরিফুলকে জালিয়াতি ও প্রতারণার মূলহোতা এবং বাকি ছয়জনকে অপরাধে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক ছিলেন। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বছরের ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।