ড. ইউনূসের শ্রম আইনের মামলা স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১০ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:১৯ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ফৌজদারি আইনের ৩০৩ (ঙ) ও ৩০৭ ধারায় দায়ের করা মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আজ রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন। শ্রম আইনে মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শ্রম আইনে মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার আবেদনের ওপর গত সপ্তাহে আংশিক শুনানি হয়েছে। ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল তার পক্ষে শুনানি করেছেন। এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। এই তিন আসামিও পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।