স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলীয় সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:১৫ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৫ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলীয় সমন্বয় কমিটি ভার্চুয়াল যোগাযোগ মাধ্যমে সভা করেছে গতকাল রবিবার।
স্বাধীনতা সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপন এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডক্টর শাকিরুল ইসলাম খান শাকিলের সভাপতিত্বে এবং মালেশিয়া বিএনপির সভাপতি ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলীয় সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন সমন্বয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।
সভায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলীয় সমন্বয় কমিটি এই অঞ্চলে বছরব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তীর কি কি প্রোগ্রাম পালন করবে সেই বিষয়ে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলীয় সমন্বয় কমিটি কর্তৃক বছর ব্যাপী এই অঞ্চলে কেন্দ্রীয় ভাবে এবং প্ৰত্যেকটি দেশে আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন প্রগ্রাম করার প্রস্তাব সভায় উপস্থাপন করা হলে জাতীয় উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রস্তাব গুলো সমর্থন করে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব নিয়ে আওয়ামী লীগ নোংরা খেলায় লিপ্ত। আসলে আল জাজিরার সংবাদ ধামাচাপা দিয়ে মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব নিয়ে আওয়ামী লীগ নাটক শুরু করেছে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ সফল হতে দেবে না। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না। যারা মনে করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিল করা হলেই তাকে মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়া হবে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাংলার মানুষ জিয়াউর রহমানের নাম মনে রাখবে। তিনি বলেন দেশে এবং বিদেশে এই অবৈধ সরকারের অপচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের অন্যায়, দুঃশাসন থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করে ছাড়বে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সমাদৃত। দেশের সঙ্কট মুহূর্তে ত্রাণকর্তা হিসেবে তিনি বারবার দেশকে সঙ্কট থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধও করেছেন। শহীদ জিয়ার শান্তি ও উন্নয়নের রাজনীতি মানুষকে উজ্জেবীত করেছিল। জিয়াউর রহমানসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানকে সমুন্নত রাখতে হবে। তিনি স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে সংরক্ষিত করে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান।
সভার সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক ডক্টর শাকিরুল ইসলাম খান শাকিল বলেন বাংলাদেশ ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একে অপরের সম্পূরক। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। জিয়াকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের আপামর জনগণের হৃদয়ে স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জিয়া নামে প্রতিষ্ঠিত। জিয়া ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক, রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সেনাপ্রধান এবং বাংলাদেশের একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক।
শাকিল বলেন মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য অর্জিত জিয়াউর রহমানের পদক নিয়ে টানাটানি করবেন না। এই মাফিয়া সরকার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে যত ষড়য়ন্ত্রই করুন জনগণ তা রুখে দিবে। তিনি কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। সেইসাথে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহবান জানান।
সভায় মালেশিয়া বিএনপির সভাপতি ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলীয় সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপন সমন্বয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনয়ার বাদলুর রহমান খান সহ অন্নান্য বক্তারা সরকারকে শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান, তা নাহলে দেশে ও বহির্বিশ্বে একযোগে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মালেশিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, আলহাজ্ব নূরে আলম (জাপান), শামসুর রাহমান ফিলিপ (সিঙ্গাপুর), মোহাম্মদ রাশেদুল হক (অস্ট্রেলিয়া), এম জামান সজল (দক্ষিন কোরিয়া), মো: শহীদুল ইসলাম নান্নু (জাপান), মনিরুল হক জর্জ (অস্ট্রেলিয়া), কাজী এনামুল হক (জাপান), দেলোয়ার হোসেন (অস্ট্রেলিয়া), মীর রেজাউল করিম রেজা (জাপান), মোহাম্মদ কামরুল (সিঙ্গাপুর), হসিবুল করিম হাসিব (দক্ষিন কোরিয়া), মাহবুব আলম শাহ (মালেশিয়া), সৈয়দ জাকিরুল আলম (মালেশিয়া), মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন মিঠু (জাপান), এমদাদুল ইসলাম মনি (জাপান), আশরাফুর রহমান খান রবিন (সিঙ্গাপুর), হায়দার আলী (অস্ট্রেলিয়া), ইমরান হোসেন তালুকদার (মালদ্বীপ), দেওয়ান সাইফুল আলম মাসুদ (হংকং), এম জে আলম (মালেশিয়া), আব্দুল জলিল লিটন (মালেশিয়া), মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ (অস্ট্রেলিয়া), ইঞ্জিনিয়ার সোহেল মাহমুদ ইকবাল (অস্ট্রেলিয়া), মোঃ মনির হোসাইন (দক্ষিন কোরিয়া), আবু সায়েম আজাদ (সিঙ্গাপুর), মোঃ সম্রাট হাওলাদার রাজু (দক্ষিন কোরিয়া), জাহাঙ্গীর আলম খান (মালেশিয়া), হাবিবুর রহমান রতন (মালেশিয়া), মেহেদী হাসান খান চৌধুরী (নিউজিল্যান্ড), জিয়া উদ্দিন (সিঙ্গাপুর), ইমন রহমান (দক্ষিন কোরিয়া), খাইরুল ইসলাম নিজামী (হংকং), মোঃ খলিলুর রহমান (মালদ্বীপ), মুন্নি চৌধুরী মেধা (অস্ট্রেলিয়া), মাছিয়ামা মুনা ইব্রাহিম (জাপান), কানিজ ফাতেমা লিমা (নিউজিল্যান্ড), প্রমুখ।