ভারতের মণিপুর রাজ্যে ফের সহিংসতা, কারফিউ জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৮ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:২৫ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যটির তিনজন মন্ত্রী এবং ছয়জন বিধায়কের বাড়িতে হামলার পর এবার মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাসভবনে হামলার চেষ্টা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) রয়টার্স এবং এনডিটিভি-র পৃথক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিক্ষুব্ধ জনতা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দরজা ভেঙে জোর করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভ ও সহিংসতা ঠেকাতে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল পূর্ব এবং পশ্চিম জেলাসহ সাতটি জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিষ্ণুপুর, থৌবাল, কাঙ্কপোকপি, এবং চূড়াচন্দ্রপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
সহিংসতার মূল কারণ: মণিপুরে উত্তেজনা নতুন নয়। ২০২৩ সালের মে মাসে কুকি এবং মেইতেই উপজাতির মধ্যে শুরু হওয়া সংঘাতের জেরে রাজ্যটি অস্থির হয়ে ওঠে। সাম্প্রতিক উত্তেজনার সূত্রপাত গত সপ্তাহে কুকি বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ থেকে। ওই সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হন এবং অপহৃত হয় আট মাসের এক শিশুসহ ছয়জন।
গত শুক্রবার একটি নদী থেকে নিখোঁজদের মরদেহ উদ্ধারের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা সরকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী, বিধায়কদের বাড়ি এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হামলার চেষ্টা চালায়।
মণিপুর সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আফস্পা (আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট) পর্যালোচনা এবং প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত কোটার বিরোধিতা থেকেই এ সংঘাতের সূত্রপাত। দেড় বছর পর পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সাম্প্রতিক সহিংসতায় রাজ্যের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা আবারও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
সরকারের উদ্যোগ এবং কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার দাবি জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।