ভূমিকম্পে বিপাকে পড়া তুরস্ককে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সহায়তার ঘোষণা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৪৪ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
একের পর শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপাকে পড়া তুরস্ককে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাৎক্ষণিকভাবেই এই সহায়তার ঘোষণা দেন।
জেলেনস্কি বলেছেন, “তুরস্কে ভূমিকম্পের কারণে শত শত মানুষের মৃত্যু ও আহত হওয়ার খবরে আমরা হতবাক। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা এই মুহূর্তে বন্ধুপ্রতীম তুর্কি জনগণের পাশে আছি। আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”
প্রসঙ্গত, বিগত ১১ মাস ধরে যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে। দেশটিতে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে আগ্রাসন শুরু করে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। রুশ বাহিনীর হামলায় এরই মধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইউক্রেন। এই অবস্থায়ও প্রতিবেশী তুরস্কের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
উল্লেখ্য, একের পর এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে তুরস্কে। প্রথম শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার দুই ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৪২টি আফটারশক হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির অভ্যন্তরীণ দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। এতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তুরস্ক ও প্রতিবেশি সিরিয়ায় দুই শতাধিক প্রাণহানি ও এক হাজারের বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাস প্রদেশে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮ এবং এর উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪.১ কিলোমিটার গভীরে।
তবে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৪ এবং উৎপত্তিস্থল ছিল পাজারচিক জেলায়। এটি ঘটে ৭ কিলোমিটার গভীরে।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিয়ারবাকির ও গাজিয়ানটেপসহ অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশ এবং লেবানন ও সিরিয়া, সাইপ্রাসসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরে আফটারশকগুলো কয়েক ঘণ্টা এবং এমনকি কয়েক দিনও অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, সিরিয়ায় এই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১১১ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। তুর্কি সীমান্তবর্তী আলেপ্পো, লাটাকিয়া, হামা ও টারতুস এলাকায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ন্যাশনাল নিউজ, সিএনএন, আনাদোলু এজেন্সি