বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎবার্ষিকীর আলোচনা সভায়
দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে প্রবাসীদের রেমিডেন্স বন্ধের আহ্ববান অস্ট্রেলিয়া বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ২৯ মে,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:০৫ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার উদোগে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, জিয়াউর রহমানের ৪১ তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা গত ২৯ শে সিডনির লাকেম্বাস্থ ধানসিঁড়ি হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি কেরানী গন্জ কলেজের সাবেক এজিএস বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক মোঃ কুদরত উল্লাহ লিটনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্ববায়ক মোঃমোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারেক উল ইসলাম তারেক, ডক্টর ফকির মনিরুজ্জামান, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক এএনএম মাসুম।
আর ও বক্তব্য রাখেন জিসাসের সহসভাপতি খাইরুল কবির পিন্টু, বিএনপি অস্ট্রেলিয়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ শিবলু, ইন্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম শামীম, এসএম খালেদ, যুবদলের সভাপতি শেখ সাইফ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন রাজু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মৌহাইমেন খান মিশু, জিসাস সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আরমান হোসেন ভূইয়া।
আরও উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ, মাহবুবুর রহমান সর্দার মামুন,আব্দুল করিম, গোলাম রাব্বানী শুভ্র,মোহাম্মদ নাসির আহম্মেদ, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ কবির আম্মেদ, অসিত গোমেজ,জোসেফ ঘোষ, আব্দুল গফুর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ যাবে কোন পথে ফায়সালা হবে রাজপথে। এই রাজপথ থেকেই আমাদের অবৈধ সরকারকে ধাক্কা দিতে। আমাদের ছাত্রদল তাদের শরীরের রক্ত ঢাকার রাজপথে দিয়ে এই ধাক্কা দেয়ার আন্দোলনের সূচনা করেছে। আমি আশা করি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে ছাত্রদলের পাশে থেকে একই ইস্যুতে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের বিকল্প নাই।
লিয়াকত আলী স্বপন বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের স্বাধীন হতো কিনা সন্দেহ আছে।তাই বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের অধীনে এ দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়াও হবে না। এই ভোট ডাকাত ও মাফিয়া সরকারকে হটিয়ে নিরপেক্ষ সরকার কায়েম করা হবে। আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন গঠিত নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীন নির্বাচন হবে।
কুদরত উল্লাহ লিটন বলেন, এই হাসিনা সরকার অবৈধ এবং মিডনাইটের সরকার তাই সকল প্রবাসী দেশ প্রেমি ভাই বোনদেরকে অস্ট্রেলিয়া সহ সারা বিশ্ব থেকে সঠিক নির্বাচন না পর্যন্ত রেমিডেন্স বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে মোবারক হোসেন বলেন, আমাদের এই আন্দোলনের ইস্যু সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। আমাদের ইস্যু একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ নিজের ভোট নিজে দিবে, ইভিএমের মাধ্যমে না। তাই আমাদের ইস্যু পরিষ্কার।